Thank you for trying Sticky AMP!!

ছিনতাইয়ের টাকায় গাড়ি ক্রয়

প্রতীকী ছবি

মতিঝিল থেকে এক ব্যবসায়ীর ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা ছিনতাই করেছিলেন চার ব্যক্তি। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) দুজনকে গ্রেপ্তারের পর জেনেছে ওই টাকা দিয়ে একটি প্রাইভেট কার কিনেছেন চক্রের প্রধান। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা এখন ওই গাড়ির পেছনে ছুটছেন। গাড়িটির সন্ধান পেলেই চক্রের বাকি দুই সদস্যেরও সন্ধান পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন তারা।

জড়িত চারজনই ছিনতাইয়ের সময় নিজেদের পুলিশ সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাদের কাছে ওয়াকিটকি এবং হাতকড়াও ছিল।

গত ১৬ জুন মতিঝিল এলাকায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী মো. রাশেদ শামীম চৌধুরী ওই দিন তার অফিস সহকারী তামিম হোসেনকে মতিঝিলের একটি বেসরকারি ব্যাংকে টাকা তুলতে পাঠিয়েছিলেন। বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে তামিম যখন একটি ব্যাগে করে টাকা নিয়ে ফিরছিলেন তখন সমাজকল্যাণ ভবনের পাশে ছিনতাইয়ের শিকার হন। একটি সাদা গাড়িতে করে চার ব্যক্তি এসে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে তামিমকে তুলে নিয়ে যান।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় করা মামলায় রাশেদ শামীম চৌধুরী বলেছেন, টাকা তুলে তামিম যখন ফিরছিলেন না তখন তিনি পুলিশের জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে সহায়তা চান। এরপর মতিঝিল থানা-পুলিশ তার কার্যালয় মার্স এন্টারপ্রাইজে আসেন। বেলা দেড়টার দিকে এক ব্যক্তি ফোন করে জানান তামিমকে তারা চোখ-মুখ, হাত-পা বাধা অবস্থায় আড়াইহাজারের মদনপুরের প্যাচাইন এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করেছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডিবি পুলিশের মতিঝিল বিভাগের গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মো. ইলিয়াস ও মো. জুয়েল রানা নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। জুয়েল লালবাগে এক ব্যক্তির গাড়ি চালান। আর ইলিয়াস একটি গার্মেন্টসে অপারেটর পদে চাকরি করেন। এ দুজনই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, জুয়েলের ফুপাতো ভাই মিলন এই ছিনতাইয়ের পরিকল্পনাকারী।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা জানান, এই চারজন মিলে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডেও একটি ছিনতাই করেছেন। ওই ছিনতাই এ অংশ নেওয়ায় জুয়েল দুই লাখ টাকা এবং ইলিয়াস দেড় লাখ টাকা পেয়েছেন। আর মতিঝিলের ছিনতাই এর টাকা দিয়ে মিলন একটি সিডান কার কিনেছেন বলে জানা গেছে। মিলন মূলত সিএনজি চালান। এর আগেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছিল। তখন জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ছিনতাইর টাকায় কেনা গাড়িটি তারা শনাক্তের চেষ্টা করছেন। গাড়িটির সন্ধান মিললে জড়িত বাকি দুজনেরও সন্ধানও মিলবে বলে তারা মনে করছেন।