Thank you for trying Sticky AMP!!

ছেলেকে মা খুঁজে পেলেন ঠিকই, তবে...

ছবিটি প্রতীকী

তিন দিন ধরে ছেলেকে অনবরত খুঁজেছেন হামিদা বেগম (৬০)। শেষ পর্যন্ত ছেলে ইমদাদুলকে খুঁজে পেয়েছেন তিনি; তবে জীবিত নয়, মৃত। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর লাশ আগুনে পুড়িয়ে আলামত নষ্ট করার চেষ্টাও করেছে তারা। এতে লাশের অনেকটাই পুড়ে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়ন পরিষদের ঘোড়াদাইড় গ্রামে।

গত মঙ্গলবার রাতে ফোন করে ডেকে নেওয়া হয় ইমদাদুল হক ভূঁইয়াকে (২৮)। এরপর পাইককান্দি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিত্যক্ত কোয়ার্টারের একটি কক্ষে তাঁকে হত্যা করা হয়। এখানেই শেষ নয়, লাশের হাত-পা বেঁধে শরীরে আগুন দিয়ে কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যায় দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় গোপালগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ ওই কক্ষ থেকে ইমদাদুলের লাশ উদ্ধার করে।

নিহত ইমদাদুলের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী লিপি বেগম বলেন, ‘রাত ১১টায় হঠাৎ ইমদাদুলের ফোনে একটি কল আসে। তখন কে বা কারা ওকে ডেকে নেয়। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও শুধু ট্রাউজার ও গায়ে একটি তোয়ালে জড়িয়ে বের হয়ে যায়। এরপর আর ফিরে আসেনি।’ লিপি বলেন, একই গ্রামের কাছেম চৌধুরীর ছেলে তায়েব চৌধুরীর কাছে এক লাখ টাকা পেতেন ইমদাদুল। এই টাকা নিয়ে প্রায়ই তায়েবের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হতো ইমদাদুলের। সেই জের ধরেই তায়েব ও তাঁর সহযোগীরা তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেন লিপি।

গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক মো. ওমর ফারুক বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর উপজেলার পাইককান্দি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত একটি কক্ষ থেকে ইমদাদুল নামের এক ব্যক্তির পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটিকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন সেই সন্দেহে হাফিজুর সিকদার নামের এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি।