Thank you for trying Sticky AMP!!

জনতা ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ

রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল শুক্রবার বেলা তিনটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। রাজধানীর ইডেন কলেজ, লালমাটিয়া কলেজ ও সেন্ট্রাল রোডের আইডিয়াল কলেজে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
পরীক্ষা শেষে বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী প্রথম আলোর কাছে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ করেছেন। এ ছাড়া গতকাল ইডেন কলেজে পরীক্ষা দেওয়া এক ছাত্রকে বহিষ্কার করা হয়, যিনি স্বীকার করেন পরীক্ষা শুরুর ২০-২৫ মিনিট আগেই তিনি প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন।
২০১৬ সালের ১০ মার্চ ৮৩৪টি পদের বিপরীতে জনতা ব্যাংকের নির্বাহী কর্মকর্তা বা এক্সিটিউটিভ অফিসার পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি। এ বছরের ২৪ মার্চ সকাল ও বিকেলে প্রাথমিক বাছাই (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আড়াই লাখ প্রার্থী তাতে অংশ নেন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ১৫০ জন।
রাষ্ট্রায়ত্ত সব ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা এখন ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে হচ্ছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে গতকাল রাতে এই কমিটির একজন সদস্যের কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে পারবে। কারণ, তারাই এই পরীক্ষা নিয়েছে।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ফরিদ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ সত্য নয়। কারণ, পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা আগে কেন্দ্রগুলোতে প্রশ্ন গেছে। ঘণ্টা পড়ার পর শিক্ষকেরা প্রশ্নপত্র খুলে বিতরণ করেছেন। কাজেই প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তবে পরীক্ষা শুরুর পর মোবাইল বা কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে সেটি অন্য জায়গায় যেতে পারে।’