Thank you for trying Sticky AMP!!

ঝিনাইদহে 'বন্দুকযুদ্ধে' একজন নিহত

ঝিনাইদহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ লাল মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের কালীগঞ্জের বারোবাজারে গতকাল শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, নিহত লাল মিয়া ডাকাত ছিলেন। তবে পরিবারের দাবি, পুলিশ পরিচয়ে তাঁকে গত শনিবার কুষ্টিয়ার আলামপুর বাজার থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত লাল মিয়া ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবু বক্করের ছেলে।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখের ভাষ্য অনুযায়ী, রাত তিনটার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে চলাচলকারী এক ট্রাকচালকের মাধ্যমে কালীগঞ্জ থানা-পুলিশ জানতে পারে, বারোবাজার কড়ইতলায় এক দল ডাকাত মহাসড়কের ওপর গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা করছে। খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সেখানে গেলে ডাকাতেরা বোমা নিক্ষেপ করে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে এক ডাকাত সদস্য মারা যান। তাঁর নাম লাল মিয়া।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যও আহত হন। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁরা চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে একটি শাটারগান, একটি বোমা, পাঁচটি ককটেল, গাছ কাটার করাত, কিছু দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে নিহত লাল মিয়ার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে হরিণাকুণ্ডু থানায় দুটি হত্যাসহ পাঁচটি মামলা আছে।
তবে লাল মিয়ার ভগ্নিপতি রানা আহম্মেদ অভিযোগ করে বলেন, গরু কিনতে গত শনিবার লাল মিয়া কুষ্টিয়ার আলামপুর বাজারে যান। সেখান থেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বাজারের লোকজনের কাছে তাঁরা শুনেছেন। কিন্তু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে খুঁজেও লাল মিয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। শেষে গতকাল সকালে তাঁর লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ।