Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ী নিহত: পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফের হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হোয়াইক্যংয়ের উলুবনিয়া এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশের দাবি, নিহত ওই দুই ব্যক্তি ইয়াবা ব্যবসায়ী। তাঁদের কাছ থেকে ১ লাখ ৫৮ হাজারটি ইয়াবা বড়ি, ২টি এলজি ও ১০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁদের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছর। তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে পুলিশের তিনটি বিশেষ টহল দল উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়ন এলাকায় টহল দিচ্ছিলেন। গতকাল রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে, নাফ নদ দিয়ে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার একটি বড় চালান হোয়াইক্যং উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করবে একদল মাদক ব্যবসায়ী। ওই খবর জানতে পেরে পুলিশ ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এরপর রাত সোয়া দুইটার দিকে উলুবনিয়া আবুল ফয়েজের বাড়িসংলগ্ন এলাকায় কয়েকজন সন্দেহভাজন লোককে দেখতে পেয়ে তাঁদের থামতে বললে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পরে পুলিশও নিজেদের রক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটে।

ওসি প্রদীপ কুমার বলেন, একপর্যায়ে কয়েকজন ইয়াবা ব্যবসায়ী গুলি করতে করতে সেখান থেকে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ ওই স্থানে তল্লাশি চালিয়ে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তি, ইয়াবা বড়ি, এলজি ও কার্তুজ উদ্ধার করে। পরে গুলিবিদ্ধ দুজনকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি ওই হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা জাকারিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, ভোরে পুলিশ গুলিবিদ্ধ দুজনকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। দুজনের শরীরে বিভিন্ন স্থানে তিনটি করে গুলির চিহ্ন দেখা গেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারী বলেন, নিহত দুজন তাঁর এলাকার বাসিন্দা নন। উলুবনিয়া সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার খুবই কাছে। তাই ইয়াবার চালান আনতে উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবির থেকে কোনো বাসিন্দা সেখানে যেতে পারেন। নিহত ব্যক্তিদের পরনের জামা-কাপড় থেকে তাঁরা রোহিঙ্গা বলেই মনে হচ্ছে।