Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গাসহ নিহত ২

বন্দুকযুদ্ধ। প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার রাতে উপজেলায় হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের দুই নম্বর স্লুইসগেট–সংলগ্ন নাফ নদীর তীরে বন্দুকযুদ্ধ এই ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন দেলোয়ার হোসেন (৩০) ও নুরুল ইসলাম (২৭)। দেলোয়ারের বাড়ি হোয়াইক্যং নয়াবাজার সাতঘরিয়াপাড়ায়। আর নুরুল উখিয়া কুতুপালং-২ রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবিরে (ব্লক-এ, ২ জি) বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশের দাবি, দেলোয়ার ও নুরুল দুজনই মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বন্দুকযুদ্ধের স্থান থেকে ২০ হাজার ইয়াবা বড়ি, ২টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি তাজা কার্তুজ ও ২টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

টেকনাফ-২ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার বলেন, মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান বাংলাদেশে প্রবেশ করছে বলে খবর পাওয়া যায়। গত রাতে বিজিবির একটি দল টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজারের দুই নম্বর স্লুইসগেট–সংলগ্ন নাফ নদীর তীরে অবস্থান নেয়। এ সময় মিয়ানমারের কয়েকজন পাচারকারী এই এলাকায় প্রবেশ করে চার থেকে পাঁচজন দেশীয় ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলিত হন। তাঁরা ইয়াবা লেনদেন করছিলেন। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা গুলিবর্ষণ করেন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে ইয়াবা পাচারকারীরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে দুজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সেখানে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

বিজিবি এই কর্মকর্তা বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির চার সদস্য আহত হয়েছেন।

বিজিবি জানায়, ময়নাতদন্তের জন্য নিহত দুই ব্যক্তির লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক টিটু চন্দ্র শীল বলেন, বিজিবি ভোরে দুজন গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে নিয়ে আসে। তাঁদের শরীরে গুলির চিহ্ন ছিল। আহত চারজন বিজিবি সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।