Thank you for trying Sticky AMP!!

টেকনিশিয়ান থেকে হয়ে যান বিশেষজ্ঞ ডাক্তার!

ছবি: রয়টার্স

ম্যাটস থেকে একটি ডিপ্লোমা কোর্স করেছিলেন ফাহমিদা আলম। এরপর তিনি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে এম হোসেন জেনারেল হাসপাতালে আলট্রাসনোর টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি নেন। একপর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগসাজশ করে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে রোগী দেখা শুরু করেন। তাঁর ব্যবস্থাপত্রে নামের পাশে লেখা এমবিবিএস, পিজিটি (গাইনী অ্যান্ড অবস), এমসিএইচ (ডি এস এইচ) সিএমইউ, ডিএমইউ মেডিসিন গাইনী ও শিশু রোগ বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং সনোলজিষ্ট।

ফাহমিদার বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলীপুল এলাকার ওই হাসপাতালে অভিযান চালায় র‌্যাব-১১। এ সময় রোগী দেখছিলেন ফাহমিদা আলম (২৫)। র‌্যাব তাঁর কাছে নিবন্ধনকৃত চিকিৎসক হিসেবে সনদ দেখতে চাইলে কোনো সনদ দেখাতে পারেননি।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাঁকে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম। একই সঙ্গে হাসপাতালটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।

বুধবার র‌্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিমউদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হিসেবে ফাহমিদা রোগীদের বিভিন্ন প্যাথোলজিকেল টেস্ট দিয়ে অনেক টাকা হাতিয়ে নেন। রোগীদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণা করে আসছিলেন। ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তারের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুল ইসলাম। তিনি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ফাহমিদাকে দোষী সাব্যস্ত করে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে হাসপাতালে যেসব আধুনিক সুযোগ-সুবিধা বা যন্ত্রপাতি থাকার কথা তা থাকায় হাসপাতালটি সিলগালা করে বন্ধ করে দেওয়া হয়।