Thank you for trying Sticky AMP!!

ঢাকায় একে-২২ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার দুজন কারাগারে

একে-২২ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার সাইদুর ও কামাল। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ওয়ারীতে একে-২২ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

দুই আসামি হলেন, কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার শুভপুর গ্রামের কামাল হোসেন (৩৫) ও সাইদুল ইসলাম মজুমদার (৩০)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আদালতকে এক প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশ এলাকায় বড় ধরনের নাশকতা করার জন্য অস্ত্র-গুলি আনা হয়েছিল।

গত ৩০ জুন রাজধানীর ওয়ারীর স্বামীবাগ ওয়ান্ডারল্যান্ড পার্কের সামনে থেকে সন্ধ্যার সময় একে-২২ রাইফেলসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিম। উদ্ধার করা হয় পনেরো রাউন্ড গুলি। এ ঘটনায় কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিমের উপপরিদর্শক (এসআই) মাহফুজুল হক চৌধুরী বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ৩০ জুন সন্ধ্যায় রাজধানীর সুপার মার্কেটের সামনে তাঁরা অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাঁরা জানতে পারেন, স্বামীবাগের ওয়ান্ডার ল্যান্ড পার্কের সামনে কয়েকজন লোক অস্ত্র-গুলিসহ অবস্থান করছে। তখন অভিযান চালিয়ে একে-২২ রাইফেলসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পালিয়ে যান কুমিল্লার হাসিব, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের এক নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী গোলাম কিবরিয়া, চট্টগ্রামের বাবুল উদ্দিন এবং সাদেক আহম্মেদ।

একে–২২ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার দুজনকে গত ১ জুলাই আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। আদালতকে বলা হয়, আসামি কামাল ও সাইদুর দীর্ঘদিন ধরে অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। শুনানি নিয়ে আদালত প্রত্যেকের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মো. মনিরুজ্জামান বৃহস্পতিবার টেলিফোনে প্রথম আলোকে বলেন, পলাতক আসামি হাসিবের নামে একাধিক নাশকতার মামলা আছে। অপর আসামিরাও নাশকতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, দুই আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। একে-২২ রাইফেলের মতো ভারী অস্ত্র চট্টগ্রাম থেকে আনা হয়েছিল বলে গ্রেপ্তার দুই আসামি স্বীকার করেছেন।

কাউন্টার টেররিজমের আর্মস এনফোর্সমেন্ট টিমের এই কর্মকর্তা বলেন, একে-২২ রাইফেলের মতো অস্ত্র হোলি আর্টিজান হামলার পর ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। এই ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।