Thank you for trying Sticky AMP!!

তথ্য গোপন করে জামিন আবেদনে ফেঁসে গেলেন কামরুল

হাইকোর্ট

প্রতারণার মামলায় তথ্য গোপন করে জামিন আবেদনে ফেঁসে গেলেন কামরুল হাসান নামের এক আসামি। ওই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি কোনো আদালতে জামিন আবেদন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমানের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে এ আদালতে কামরুলের আইনজীবী দুই মাস জামিন আবেদন পরিচালনা করতে পারবেন না বলেও সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। কামরুলের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হোসেন আহমেদ আশিক।

সাইফুদ্দিন খালেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের ওই মামলায় চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে কামরুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়। পরে এ সূত্রে তিনি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চে জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়। এ তথ্য গোপন করে ও ২৭ জানুয়ারি নিম্ন আদালতে জামিন নামঞ্জুরের একই আদেশ দেখিয়ে আজকের বেঞ্চে জামিন আবেদন করেন আসামিপক্ষ। তথ্য গোপনের বিষয়টি নজরে এলে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের তথ্যমতে, গ্রাহকের টাকা জমা না করে ৩২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৭ জুলাই কামরুলের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে এনআরবি ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। এ মামলায় গত বছরের ২ ডিসেম্বর নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আসামি কামরুল। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে বিফল হয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।