Thank you for trying Sticky AMP!!

তদবির করতে সাংসদ পরিচয় দিয়ে ধরা

নিজেকে সাংসদ হিসেবে পরিচয় দিয়ে পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে তদবির করতে গিয়ে ধরা খেয়েছেন এক ব্যক্তি। সোমবার রাজশাহীর পুঠিয়ার শিবপুর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৫)। পুঠিয়া উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মাজেদ গাইনের ছেলে তিনি।

ওই ঘটনায় স্থানীয় হাইওয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দী বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, রাজশাহীর পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা গত রোববার বিকেলে পুঠিয়ার শিবপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মহাসড়কে চলাচলনিষিদ্ধ একটি অটোরিকশা (থ্রি-হুইলার) আটক করেন। সোমবার সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাংসদ মনসুর রহমানের পরিচয় দিয়ে হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. শহিদ উল্লাহর কাছে একটি ফোন আসে। ফোনের ওপাশ থেকে সাংসদ পরিচয় দিয়ে বলা হয়, পবা হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ পুঠিয়ার শিবপুরে একটি অটোরিকশা আটক করেছে। ওই রিকশার মালিক একজন গরিব মানুষ। তা ছাড়া তিনি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান। তাঁর গাড়িটি ছেড়ে দিতে হবে। পুলিশ সুপার গাড়িটি নেওয়ার জন্য ফাঁড়িতে যেতে বলেন। তবে তাঁর একটু সন্দেহ হয়। তিনি ফাঁড়ির ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দীকে সন্দেহের বিষয়টি জানিয়ে দেন।

কাজল কুমার সাংসদ মনসুর রহমানের ব্যক্তিগত সহকারীর কাছে ফোন করে জানতে পারেন যে সাংসদ ঢাকায় আছেন। পুলিশ সুপারকে এ বিষয়ে তিনি কোনো ফোন করেননি। এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাহাঙ্গীর আলম পবা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে এসে ইনচার্জ কাজল কুমার নন্দীর কাছে জানতে চান তাঁর অটোরিকশা ছেড়ে দেওয়ার জন্য কেউ তদবির করেছে কি না। কাজল কুমার জানতে চান গাড়িটা তাঁর কি না। জাহাঙ্গীর আলম স্বীকার করেন এটা তাঁর নিজের গাড়ি। এবার যে ফোন নম্বর থেকে পুলিশ সুপারকে ফোন করা হয়েছিল, সেই নম্বরে কাজল কুমার ফোন দেন। তিনি খেয়াল করেন জাহাঙ্গীরের প্যান্টের পকেটে ফোনের রিং হয়। জাহাঙ্গীরের এই প্রতারণার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কাজল কুমার তাঁকে ধরে নিয়ে পুঠিয়া থানায় যান। সোমবার বিকেলে তাঁর নামে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধি আইনে অপরাধ করার অভিযোগে একটি মামলা করেন।

এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম সাংসদ পরিচয়ে পুলিশ সুপারকে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁকে কাল মঙ্গলবার সকালে আদালতে সোপর্দ করা হবে।