Thank you for trying Sticky AMP!!

তাঁর জুতার ভেতরে ১২টি সোনার বার

জুতার মধ্যে ১২ টি স্বর্ণের বার লুকিয়ে রেখেছিলেন শরীফ উদ্দিন। তবে ঠিকই র‌্যাবের কাছে আটক হন। ঝিনাইদহ সদর, ঝিনাইদহ, ৮ সেপ্টেম্বর। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাব সদস্যদের কাছে আগে থেকেই তথ্য ছিল, সোনা চোরাচালানকারী এক ব্যক্তি ঢাকা থেকে দর্শনার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া একটি বাসে আছেন। এরপর নির্দিষ্ট বাসটি আটকায় র‌্যাব। তবে বিপত্তি বাধে অন্য জায়গায়। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তবে অনেক তল্লাশি করেও তাঁর কাছ থেকে এক রত্তি সোনাও পাওয়া যাচ্ছিল না।

একপর্যায়ে র‌্যাব-৬-এর ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম নিজেই তল্লাশি শুরু করেন। ঢাকা থেকে দর্শনার উদ্দেশে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহনটির কোনায় কোনায় খুঁজতে থাকেন। ওই ব্যক্তির শরীরেও বেশ কয়েকবার তল্লাশি চালান। তবে কিছুতেই কিছু হচ্ছিল না। শেষে তাঁর পায়ে থাকা জুতার মধ্যে তল্লাশি চালানো হয়। এরপরই সেখানে থেকে বেরিয়ে এল একে একে ১২টি সোনার বার।

এই অভিযান চালানো হয় শনিবার মাঝরাতে, ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকার বিসিক শিল্পনগরীর সামনে। র‌্যাব কমান্ডার মাসুদ আলম বলেন, এ ঘটনায় আটক ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনার পুরোনো বাজারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। নাম শরীফ উদ্দিন (৫৪)।

র‌্যাব-৬ কমান্ডার মাসুদ আলম আরও বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শনিবার দিবাগত রাত প্রায় ২টার দিকে বিসিক শিল্পনগরীর সামনে র‌্যাব চেকপোস্ট বসায়। একপর্যায়ে শরিফ উদ্দিনকে আটক করা সম্ভব হয়।

কমান্ডার মাসুদ আলম বলেন, সোনার বারগুলো এতটা কৌশলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল যে সেটার সন্ধান পেতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। বারগুলোর ওজন ১ কেজি ৪০০ গ্রাম। এ ঘটনায় একটি মামলা হবে বলে জানান তিনি।