Thank you for trying Sticky AMP!!

তার নেই সুইচ নষ্ট, ৬ মাস ধরে ধুঁকছে যন্ত্র দুটি

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেডিওলজি ও ইমাজিং বিভাগে রোগ নির্ণয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি যন্ত্র ছয় মাস ধরে নষ্ট পড়ে আছে। যন্ত্র দুটি হলো সিটি স্ক্যান ও ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স ইমাজিং (এমআরআই)।

এর মধ্যে এমআরই যন্ত্রটির প্রায় ৫০ গজ তার চুরি এবং সিটি স্ক্যানের সুইচ বিকল হওয়ায় যন্ত্র দুটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। যন্ত্র দুটি নষ্ট হওয়ায় রোগ নির্ণয়ের আধুনিক চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ অঞ্চলের রোগীরা।

হাসপাতালের রেডিওলজি বিভাগ সূত্র জানায়, সিটি স্ক্যান যন্ত্রটি গত বছরের জুনের শেষ দিকে নষ্ট হয়। যন্ত্র চালু করার সুইচটি বিকল হওয়ায় সাত মাস ধরে এটি অচল হয়ে পড়ে আছে। এ যন্ত্রটি হাসপাতালে স্থাপন করা হয় ২০১২ সালের ২৮ মার্চ।

এমআরআই যন্ত্রটিও ২০১২ সালে স্থাপন করা হয়। এটি চালাতে বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে যন্ত্র পর্যন্ত প্রায় ৫০ গজ তার গত বছরের জুলাই মাসে চুরি হওয়ায় সেটিও ছয় মাস ধরে অচল পড়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্র আরও জানায়, যন্ত্র দুটি চালু থাকলে প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ জন রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হতো। নষ্ট থাকায় রোগীদের বাইরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হয়, খরচও বেশি পড়ে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, এমআরআই যন্ত্রের মাধ্যমে মানবদেহের এক্স-রে করা হয়। সাধারণত মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ডের রোগ নির্ণয়ে এমআরআই ব্যবহার হয়। এমআরআই যন্ত্রে হাসপাতালে খরচ পড়ে তিন হাজার টাকা। বাইরে থেকে একই পরীক্ষা করতে ব্যয় হয় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা। আর সিটি স্ক্যান যন্ত্রে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হাসপাতালে খরচ পড়ে সর্বনিম্ন দুই হাজার থেকে সর্বোচ্চ চার হাজার টাকা। সেখানে বাইরে খরচ পড়ে চার থেকে সর্বোচ্চ আট হাজার টাকা পর্যন্ত। অনেকে এই ব্যয়ভার বহন করতে হিমশিম খান।

রংপুর শহরের নূরপুর এলাকার ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এত বড় সরকারি হাসপাতালে যদি মাসের পর মাস যন্ত্র খারাপ থাকে তাহলে আমরা কোথায় যাব?’ শহরের মুলাটোল এলাকার সুজাউল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার হাসপাতালের এই বিভাগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় বললেন, ‘যন্ত্র দুটি প্রায়ই নষ্ট থাকে।’

রেডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নাজমুন নাহার আধুনিক রোগ নির্ণয়ের দুটি যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘যন্ত্রগুলো ঠিক করার জন্য আমরা পরিচালক বরাবর তাগাদা দেই। এর বেশি আর কিছু কীই-বা করার আছে!’

হাসপাতালের পরিচালকের দায়িত্বে থাকা উপপরিচালক অজয় কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, যন্ত্রগুলো ভালো করার জন্য ঢাকায় বহুবার তাগাদা দেওয়ার পর গত তিন-চার দিন হলো ঢাকা থেকে একটি পরিদর্শক দল এসে ঘুরে গেছে। আশা করা যায় ঠিক হবে।