Thank you for trying Sticky AMP!!

তিন মাসের শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালীর সেনবাগে ৩ মাস ১০ দিন বয়সী এক শিশুকে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত শিশুটির নাম তুর্জয় সরকার। তার বাবা সেনবাগ থানার পুলিশ কনস্টেবল সুমন সরকার। রোববার সন্ধ্যার পর সেনবাগ পৌরসভার বিন্নাগনি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেনবাগ থানা-পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। 

সেনবাগ থানা-পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে বলে তারা জানায়। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা কনস্টেবল সুমন সরকার অজ্ঞাত কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রোববার রাতেই একটি হত্যা মামলা করেন।

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কনস্টেবল সুমন সরকার শহরের বিন্নাগনি এলাকার ভাড়া বাসায় ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের দোলনায় ৩ মাস ১০ দিন বয়সের শিশু তুর্জয়কে রেখে সুমনের স্ত্রী টয়লেটে যান। সেখান থেকে ফিরে এসে দেখেন দোলনায় শিশুটি নেই। তখন তিনি (স্ত্রী) স্বামীকে ডেকে সন্তানের কথা জিজ্ঞেস করেন। আশপাশের কেউ কোলে নিয়েছে কি না, দেখতে খোঁজ নিতে বলেন। কারও কাছে না পেয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাসা থেকে ৩৫-৪০ গজ দূরের ছোট একটি পুকুরে শিশুটিকে ভেসে থাকতে দেখেন।

ওসি মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পরপরই কনস্টেবল সুমন সরকার বিষয়টি তাঁকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তবে কারা কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করেছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওসি বলেন, ‘কেউ না কেউ নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে, এটা নিশ্চিত। কারণ শিশুটি দোলনায় শোয়ানো ছিল। সে তো হেঁটে গিয়ে পুকুরে পড়েনি।’ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওসি।
খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ ঘটনাস্থলে যান।

থানা সূত্রে জানা গেছে, কনস্টেবল সুমন সরকার প্রায় দুই বছর আগে সেনবাগ থানায় যোগদান করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়।