Thank you for trying Sticky AMP!!

থাকেন ঢাকায়, চুরি করেন এলাকায়

রাজশাহীর বাগমারা থেকে গ্রেপ্তার রানা হোসেন ও মইনুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

রাজশাহীর বাগমারার বাগান্না গ্রামের রানা হোসেন (২৬), নওগাঁর মান্দা উপজেলার আবিদ্যপাড়ার সান্টু ইসলাম (২৩) ও পারশিমলা গ্রামের মইনুল ইসলাম (২৪) এক বছর ধরে ঢাকায় থাকেন। মাঝে মধ্যে এলাকায় এসে আবার চলে যান ঢাকায়। তবে এলাকায় আসেন বেড়াতে নয়, চুরি করতে। চুরি করেই ফিরে যান তাঁরা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অটোভ্যান চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তাঁরা।

বাগমারা থানা-পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার সকালে বাগান্না গ্রামের মাসুদ রানার একটি অটোভ্যান চুরি হয়। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও অটোভ্যানটি তিনি উদ্ধার করতে পারেননি। বিকেলে তাঁর হারানো অটোভ্যানটি নিয়ে রানা হোসেন, সান্টু ইসলাম ও মইনুল ইসলাম নামের তিনজনকে গজমতখালী সেতুর দিকে যেতে দেখেন স্থানীয়রা। তাঁরা তাদের থামিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন। একপর্যায়ে সান্টু সটকে পড়েন। পরে লোকজন বাকি দুজনকে আটক করে বড়বিহানালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। রাতেই মান্দা থানার পুলিশ সান্টুকে আটক করেছে। এ ঘটনায় বাগান্না গ্রামের অটোভ্যানচালক মাসুদ রানা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় এই তিনজনসহ অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।

বড়বিহানালী ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুর রহমান বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রানা হোসেন ও মইনুল বলেছেন যে তাঁরা বাগমারা ও মান্দা এলাকার বিভিন্ন দোকান ও প্রতিষ্ঠানে চুরি করে মালামালগুলো সুবিধাজনক স্থানে বিক্রি করে ঢাকায় চলে যান। সেখানে গিয়ে টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা করেন।

বাগমারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরভ কুমার চন্দ বলেন, এই তিনজন এলাকায় চুরি করে ঢাকায় চলে যেতেন। অটোভ্যানচালক মাসুদ রানার মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা এলাকার কয়েকটি দোকানে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।