Thank you for trying Sticky AMP!!

দিনাজপুরে গৃহবধূকে অমানুষিক নির্যাতন

মামলা তুলে না নেওয়ায় দিনাজপুরে সালমা বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে তাঁর তালাকপ্রাপ্ত স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন অমানুষিক নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। গত বুধবার সকালে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের তরিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় সালমা বেগমের দায়ের করা মামলায় পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর সাবেক স্বামী সিরাজুল ইসলাম, তাঁর বোন লাইলি বেগম ও ভগ্নিপতি আবু বক্করকে গ্রেপ্তার করেছে।
সালমা বেগমের মা সায়েদা বেগম গতকাল দুপুরে হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ১৮-২০ বছর আগে সালমা বেগমের সঙ্গে ট্রাকচালক সিরাজুলের বিয়ে হয়। তাঁদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে সিরাজুল যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে সালমাকে মারধর করতেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিনাজপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান গতকাল রাতে মুঠোফোনে জানান, মাস ছয়েক আগে সিরাজুল ইসলাম সালমাকে একতরফা তালাক দেন। এ ঘটনায় সালমা বাদী হয়ে সিরাজুলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। তবে তালাক দিলেও বাড়িটি সালমার নামে হওয়ায় সালমা সন্তানদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করতেন। মামলার কারণে সিরাজুল ও তাঁর পরিবারের লোকজন সালমাকে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
এই বিরোধের জের ধরে গত বুধবার সকালে সিরাজুল তাঁর তিন বোন, তিন ভগ্নিপতিসহ পরিবারের লোকজন সালমাকে অমানুষিক নির্যাতন করে বাড়ির পাশের ডোবায় ফেলে রাখেন। স্থানীয় ব্যক্তিরা সালমাকে উদ্ধার করে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফখরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সালমার যৌনাঙ্গে শুকনো মরিচের গুঁড়া দেওয়াসহ অমানুষিক নির্যাতনের প্রমাণ পাওয়া গেছে। গতকাল মামলা দায়েরের পর সিরাজুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা হাসনাত পারভেজ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ওই গৃহবধূর যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া দেওয়ার আলমত রয়েছে। এ ছাড়া পেটে নির্যাতন করা হয়েছে। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল।