Thank you for trying Sticky AMP!!

দিনাজপুরে 'বন্দুকযুদ্ধে' মাদক মামলার ২ আসামি নিহত

দিনাজপুরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ডিবির দাবি, নিহত দুই ব্যক্তি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তাদের বিরুদ্ধে মাদকের মামলা আছে। তবে নিহত এক ব্যক্তির পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনেছে।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম রামসাগর তাজপুর সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুই ব্যক্তি হলেন দিনাজপুর শহরের ফুলবাড়ি বাসস্ট্যান্ডের সিপাইপাড় এলাকার রহমত আলী (৪৫) ও আবুল কাশেম (৩৮)। তাদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশের দাবি, এ ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন ডিবির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) নাহিদ হাসান ও কনস্টেবল মাহাবুব আলম। তাদের দুজনকে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

দিনাজপুর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ টি এম গোলাম রসুল বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একটি টহল দল রামসাগরের তাজপুর-সরকারপাড়া রাস্তার পাশে অবস্থান নেয়। এই সময় ১০-১২ জন মাদক ব্যবসায়ীর একটি সংঘবদ্ধ দল ভারত সীমান্ত দিয়ে মাদক নিয়ে বাংলাদেশের সীমান্তে আসছিল। ডিবি সদস্যরা তাদের থামতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। গোলাগুলির একপর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আবুল কাশেম ও রহমত আলীর মৃতদেহ উদ্ধার করে।

আবুল কাশেম ও রহমত আলীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে বেশ কয়েকটি মামলা আছে বলে ওসি জানান।

নিহত আবুল কাশেমের ভাগনি রোকসানা বেগম দাবি করেছেন, ‘শনিবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তি বাড়ি থেকে আমার মামাকে তুলে নিয়ে যান। রোববার ডিবি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করি। কিন্তু পুলিশ বলে, এই নামে তারা কাউকে ধরেনি।’

রহমতের স্ত্রী পারুল বেগম (৪০) অভিযোগ করেন, রোববার রাত ১০টার দিকে সাদা পোশাকের কয়েকজন বাড়িতে আসেন। তাঁরা তাঁর স্বামীর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে এক লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাঁরা আর কোনো কথা না শুনে স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। সকালে স্বামীর মৃত্যুর খবর পান।