Thank you for trying Sticky AMP!!

দুই শিক্ষককে লাঞ্ছনার অভিযোগ, ক্লাস বর্জন

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার খয়ের উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতিবাদে শিক্ষকেরা গতকাল শনিবার থেকে ক্লাস বর্জন শুরু করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু হাসান সিদ্দিক বলেন, ‘ক্লাস বর্জনের বিষয়টি শুনেছি। শিক্ষকদের আমার কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। আলোচনা করে সমাধান করা হবে।’

মাদ্রাসা সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আশরাফুল ইসলাম মাদ্রাসায় আসেন। সেখানে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে শিক্ষক-সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছিল। একপর্যায়ে বলা হয়, দাখিল শাখার ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষককে অনিয়মের মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে। তিনি ভালোমতো পাঠদান করাতে পারেন না। এসব বিষয় নিয়ে আশরাফুল ইসলাম শিক্ষকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আলিম শাখার ইংরেজির শিক্ষক মোসাদ্দেকুর রহমানকে দাখিল শাখার ক্লাস নিতে বলেন। এর একপর্যায়ে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে শিক্ষকদের গালিগালাজ করে কক্ষ থেকে বের করে দেন। এর প্রতিবাদে গতকাল সকাল থেকে শিক্ষকেরা ক্লাস বর্জন শুরু করেন। বিষয়টির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ক্লাসে ফিরবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

মোসাদ্দেকুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি দাখিল শাখার ইংরেজির ক্লাসও নিয়ে আসছি। এসব বিষয় নিয়ে অফিস কক্ষে সবার সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা চলছিল। এ সময় অনিয়ম করে দাখিল শাখার ইংরেজির শিক্ষক নেওয়ার বিষয়টি বলা হলে সভাপতি উত্তেজিত হয়ে গালিগালাজ করে আমাদের কক্ষ থেকে বের করে দেন। এতে আমরা লাঞ্ছিত হয়েছি।’

আশরাফুল ইসলাম গতকাল বলেন, ‘শিক্ষকেরা যাতে নিয়মিত ক্লাস নেন, সে বিষয়ে চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। তাঁদের লাঞ্ছিত করার মতো ঘটনা ঘটেনি। তারপর কোন স্বার্থে তাঁরা ক্লাস বর্জন করেছেন, তা বুঝতে পারছি না। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান করা হবে।’

অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল করিম বলেন, ‘ক্লাস বর্জনের মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। তারপরও শিক্ষকেরা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। দ্রুত সমাধান করা হবে।’