Thank you for trying Sticky AMP!!

দুদিনে ৯০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ, গ্রেপ্তার নেই

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় গত বুধ ও সোমবার ৯০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি নৌপুলিশ, বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
বন্য প্রাণী নিয়ে কাজ করা ওয়াইল্ড টিমের খুলনা অঞ্চলের দলনেতা মো. নাসির উদ্দিন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, সুন্দরবন-সংলগ্ন পাথরঘাটা অঞ্চলে আগের চেয়ে হরিণ শিকার বেড়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও বন বিভাগসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে আরও বেশি করে সচেতন হতে হবে। পাশাপাশি হরিণসহ বন্য প্রাণী শিকার ও পাচার মামলার প্রতিটি ধাপে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
চরদুয়ানী নৌপুলিশ ফাঁড়ি, জ্ঞানপাড়া ও সুপতি বন বিভাগ এবং সুপতি কোস্টগার্ড সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা তিনটার দিকে চরদুয়ানীর বাজার খাল থেকে স্থানীয় জেলে ও যুবকদের সহায়তায় একটি নৌকাসহ ৩০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি চরদুয়ানী নৌপুলিশ ফাঁড়ি ও জ্ঞানপাড়া বন বিভাগ। এর আগে সোমবার সন্ধ্যা থেকে মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা পর্যন্ত চরদুয়ানী বাজার ও মানিকখালী বাজারে অভিযান চালায় বাগেরহাটের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি বন বিভাগ ও সুপতি কোস্টগার্ডের সদস্যরা। এ ঘটনায় পৃথকভাবে চরদুয়ানী থেকে একটি রক্তমাখা নৌকা ও মানিকখালী বাজার সড়ক থেকে ৬০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায়ও কাউকে আটক করতে পারেননি সুপতি বন বিভাগ ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা। তবে পৃথকভাবে পাথরঘাটা থানায় ও সুপতি বন বিভাগে দুটি মামলা করা হয়েছে।
সুপতি বন বিভাগের বনপ্রহরী মো. আকরামুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সুন্দরবনের একটি চক্র হরিণ শিকার করে পাথরঘাটার চরদুয়ানী বাজারে নিয়ে আসছে—এমন তথ্যের ভিত্তিতে সুপতি কোস্টগার্ড সদস্যদের সঙ্গে অভিযানে যায় বন বিভাগ। এতে রক্তমাখা একটি নৌকাসহ ৬০ কেজি হরিণের মাংস জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।
চরদুয়ানী নৌপুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মেহেদী জামান বলেন, বুধবার বেলা তিনটার দিকে চরদুয়ানীর বাজার খাল থেকে নৌকাসহ ৩০ কেজি মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনের নাম উল্লেখ করে পাথরঘাটা থানায় হরিণ শিকার ও পাচারের একটি মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জিয়াউল হক গতকাল বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই চারজন ছাড়াও কয়েকজন ব্যক্তির নাম তদন্তে এসেছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।