Thank you for trying Sticky AMP!!

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে...

ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসা এক নারীকে ধর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়ে দুই বখাটে তরুণ তাঁকে কুপিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার বিকেলে পাঁচটার দিকে উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই দিন সন্ধ্যায় আহত গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। পরে গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে গ্রামের কাইয়ুম (২০) ও হৃদয় মিয়াকে (১৮) অভিযুক্ত করে নান্দাইল মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

আজ সোমবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিয়া। পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হামলায় আহত ওই নারী আচারগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকাল রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, দুই হাতে রক্তাক্ত জখম নিয়ে শয্যায় কাতরাচ্ছেন ওই নারী। সঙ্গে রয়েছেন তাঁর মা, ভগ্নিপতি ও ছোট ভাই।

ওই নারীর মা জানান, ঈদের ছুটিতে তাঁর মেয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে বাড়ির কাছের এক মৎস্যখামারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে মো. কাইয়ুম ও হৃদয় মিয়া নামের দুই বখাটে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁর মেয়েকে পাশের পাটখেতে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

আক্রান্ত মেয়েটি জানান, তিনি সম্মান বাঁচাতে প্রতিরোধের চেষ্টা করতে থাকেন। বখাটেরা তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকলে তিনি হাত দিয়ে প্রতিহতের চেষ্টা করেন। এতে তাঁর দুই হাত কেটে গিয়ে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে তাঁর চিৎকার শুনে গ্রামের দুই যুবক এগিয়ে এসে তাঁকে পাটখেতের ভেতর থেকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।

গৃহবধূর বাবা মুঠোফোনে জানান, ঘটনাটি নিয়ে থানা-পুলিশ না করার জন্য বখাটেরা তাঁকে হুমকি দিচ্ছেন। আহত গৃহবধূর মা বলেন, গত অগ্রহায়ণ মাসে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। বিয়ের পর এই প্রথম তাঁর মেয়ে বাড়িতে বেড়াতে আসেন।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আকরাম উল্লাহ বলেন, মেয়েটির হাতের ক্ষতস্থান ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এ ধরনের ক্ষত হয়েছে।