Thank you for trying Sticky AMP!!

নাটোরে আনসার সদস্যসহ দুই নারীর লাশ

ছবিটি প্রতীকী

নাটোরের বড়াল নদের দুই তীরের দুই বাড়ি থেকে এক আনসার সদস্যসহ দুজন নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আনসার সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার ভোরে বাগাতিপাড়া ও লালপুর উপজেলা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া দুই নারীর নাম সাবিনা ইয়াসমিন (৩২) ও রেহেনা বেগম (৬০)। এর মধ্যে সাবিনা ইয়াসমিন স্বেচ্ছাসেবী আনসার সদস্য।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বাগাতিপাড়া ও লালপুর উপজেলার সীমান্তে বড়াল নদের এক তীরে লালপুরের চংধুপইল গ্রাম। অন্য তীরে বাগাতিপাড়ার জয়ন্তিপুর গ্রাম। আজ ভোররাতে জয়ন্তিপুর গ্রামের রেহেনা বেগমের বাড়িতে শব্দ শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে যান। তাঁরা গিয়ে রেহেনা বেগমকে তাঁর খাটের ওপর মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল।

রেহানার ছেলে মাসুদ রানা জানান, তাঁর বাবা ছাপাতুল্লাহ প্রামাণিকের সঙ্গে মায়ের অনেক দিন আগে থেকেই সম্পর্ক নেই। তাঁরা নানার ভিটায় বাড়ি করে বসবাস করছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁর মা খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে শব্দ শুনে তিনি ও আশপাশের প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে মায়ের মৃতদেহ দেখতে পান। তাঁর ধারণা, চুরি করতে এসে দুর্বৃত্তরা মাকে ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে।

বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মতিন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।

লালপুর থানা সূত্রে জানা যায়, জয়ন্তিপুর গ্রামের শাহিনুর রহমানের স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন স্বেচ্ছাসেবী আনসার সদস্য। তিনি বাবার বাড়িতে এক ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে বাস করছিলেন। তাঁর স্বামী আরেক স্ত্রী নিয়ে করিমপুরে বসবাস করেন। গতকাল রাতে সাবিনা স্থানীয় একটি মন্দিরে পূজার দায়িত্ব পালন শেষে বাড়িতে এসে খাওয়াদাওয়া করে নিজের ঘরে একা ঘুমিয়ে পড়েন। ভোরে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ঘর থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তাঁর স্বামী শাহিনুর রহমানকে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।

লালপুর থানার ওসি সেলিম রেজা এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।