Thank you for trying Sticky AMP!!

নারীরা কবে আর রেহাই পাবেন?

নারী নির্যাতন। প্রতীকী ছবি

করোনাভাইরাসের বিস্তারে বাংলাদেশও থমকে গেছে। সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। ভাইরাসটি বিস্তারের পাশাপাশি বিশ্বে নারীর প্রতি পারিবারিক নির্যাতন বাড়বে বা বাড়ছে বলে জাতিসংঘের মহাসচিব সতর্ক করেছেন। বিভিন্ন গবেষণায়ও বিষয়টি স্পষ্ট হচ্ছে। তবে ভাইরাসটির বিস্তারের সময় শুধু পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতনই শুধু ঘটছে বা বাড়ছে? ধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, নারী হত্যার মতো নির্যাতনগুলো ঘটছে না? বিভিন্ন ঘটনা বলছে, নির্যাতন থেমে নেই।

প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবর বলছে, করোনাকালে থানাগুলোয় মানুষ অভিযোগ জানাতে কম আসছেন। মামলার সংখ্যা কমে গেছে। এই মুহূর্তে পুলিশের কাছ থেকে মার্চ মাসে ঘটা (৮ মার্চ বাংলাদেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়) সারা দেশের অপরাধের কোনো পরিসংখ্যান পাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সদর দপ্তরের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। পুলিশের সিআইডি বিভাগের ডিএনএ ল্যাবের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তাও জানিয়েছেন, আপাতত ধর্ষণ, পিতৃত্ব নির্ণয়সহ ডিএনএ সংক্রান্ত কোনো মামলা গ্রহণ করা হচ্ছে না। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মামলা নেওয়া হবে।

বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদেও খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংগঠনটি ফেব্রুয়ারি মাসের পরিসংখ্যান প্রকাশ করলেও মার্চ মাসের পরিসংখ্যান কবে প্রকাশ করতে পারবে, তা অনিশ্চিত। তবে এ সংগঠন গণমাধ্যমে প্রকাশিত নারী নির্যাতনের খবরের ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতিবাদ জানানো অব্যাহত রেখেছে।

করোনাকালে কোন ধরনের নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে, তা দেখা ও বোঝার জন্য প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরগুলোতে চোখ রেখে যা তথ্য পাওয়া গেল, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। ধর্ষণ, গণধর্ষণ, বাল্যবিবাহ, যৌতুকসহ নানা নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে এসেছে, বেশির ভাগ ঘটনায় থানায় মামলাও হয়েছে।

পুরো দেশের নির্যাতনের তথ্য না থাকলেও ৪ এপ্রিল প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক আসাদুজ্জামান ‘বন্ধের মধ্যে ঢাকায় নারীর প্রতি সহিংসতায় ২৮ মামলা’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত সূত্রের তথ্যের বরাতে জানিয়েছেন, ঢাকা মহানগর এলাকায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাত্র ১০ দিনে ধর্ষণ, যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন ও অপহরণের ২৮টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৭ জন। এই সময়ের মধ্যে ৯টি ধর্ষণের মামলা হয়েছে। আর যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৮টি। এর বাইরে যৌন নিপীড়নের অপরাধে মামলা হয়েছে ৬টি। আর অপহরণের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫টি। ওই প্রতিবেদনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের সমন্বয়ক বিলকিস বেগম জানিয়েছেন, প্রতিদিনই দুই থেকে চারজন ভুক্তভোগী সেবা নিতে আসছেন সেন্টারে।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের এই সময়ে নির্যাতনের হাত থেকে নারী পুলিশ সদস্যও রেহাই পাননি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মাদারীপুরে পুলিশের নারী সদস্য অনিমা বাড়ৈ (২৭) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন। আঘাতে শ্বাসনালি অনেকখানি কেটে যায় এই পুলিশ সদস্যের। প্রথম আলোর খবর বলছে, প্রাথমিকভাবে প্রেমের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক যুবক অনিমাকে আঘাত করেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

২৯ মার্চের খবর বলছে, যশোরের মনিরামপুরের সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসানকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ব্যাংক কর্মকর্তা জাফর আহমেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাইয়েমা হাসান মনিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় চার বৃদ্ধকে কান ধরে ওঠবস করিয়ে সমালোচিত হন। এরপর তাঁকে প্রত্যাহারও করা হয়।

দাম্পত্য কলহ ও পারিবারিক নির্যাতন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গবেষণা বলছে, ঘরবন্দী জীবন নির্যাতনের শিকার নারীদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। ৬ এপ্রিল জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, করোনাকালে পারিবারিক সহিংসতা হু হু করে বাড়ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলা কৌশলে এটিও যুক্ত করতে রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

যুক্তরাজ্যের সরকারি হটলাইনে নির্যাতনের শিকার নারীদের কাছ থেকে আসা ফোন ৬৫ ভাগ বেড়েছে বলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের গৃহনিপীড়নবিষয়ক কমিশনার তথ্য দিয়েছেন।

২৮ মার্চ প্রকাশিত খবর বলছে, নারী অধিকার নিয়ে কাজ করে—এমন প্রতিষ্ঠান উয়েইপিং চীনে নারীদের ওপর সহিংসতার হার তিন গুণ পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানাচ্ছে।

জার্মান ফেডারেশন বলছে, শিশু, কিশোর ও নারীরা, যাঁরা এখন মানসিক ও শারীরিকভাবে পারিবারিক সহিংসতার শিকার হচ্ছেন, তাঁদের আসলে নির্যাতকেরা হাতের কাছে পাচ্ছে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে এখন পর্যন্ত তেমন কোনো গবেষণা নেই, তবে প্রথম আলোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রকাশিত ও প্রচারিত খবর বলছে নির্যাতন থেমে নেই।

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি ফারহানা আক্তারকে পেট্রল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ওই গৃহবধূর সাবেক স্বামীকে দায়ী করেন ফারহানার বর্তমান স্বামী। ১৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে ৪ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে মারা যান ফারহানা। ৯ মার্চের খবর বলছে, সাবেক স্বামী নন, বর্তমান স্বামী নিজেই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

১০ মার্চ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি ক্লিনিকে স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান স্বামী। দাম্পত্য কলহ থেকে স্বামী তাঁর স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ।

১৩ মার্চ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ১৭ দিন পর এক কিশোরী গৃহবধূর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এই কিশোরীর মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল।

ওই দিনই যৌতুক না দেওয়ায় স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে নির্যাতন করে গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে গৃহবধূর মা মামলা করেন।
১৪ মার্চ চুয়াডাঙ্গার পৌর এলাকা থেকে গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে গৃহবধূর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

১৭ মার্চ অভিযোগ ওঠে, মাদকাসক্ত স্বামীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেন শুকলা (২০) নামের এক গৃহবধূ।

২৭ মার্চ পারিবারিক কলহের জের ধরে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর মুখে অ্যাসিড ছুড়ে ঝলসে দেন।

ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি
এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহের ঘটনা। কেরানীগঞ্জে ত্রাণ নিতে গেলে ত্রাণের কথা বলে ঘরে আটকে রেখে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

মার্চের শেষে জামালপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী তল্লাশির কথা বলে পুলিশ পরিচয়ে ঘরে প্রবেশ করে এক কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেছে পাঁচ বখাটে।

২৬ মার্চ যশোর সদরে চার বছর বয়সী নিজের মেয়েকে ৪৫ বছর বয়সী এক বাবা ধর্ষণ করেছেন অভিযোগ করে মেয়ের মা মামলা করলে পুলিশ ওই বাবাকে গ্রেপ্তার করে।

২৬ মার্চ ময়মনসিংহের গফরগাঁওতে এক মসজিদের মোয়াজ্জিন ধর্ষণ করে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে হত্যা করেন। পরে ওই মোয়াজ্জিন কিশোরীর লাশ মসজিদের পাশে একটি গাছে ঝুলিয়ে রেখে ফজরের আজান দেন ও ইমামতি করেন।

১৪ মার্চ কুমিল্লা সদরে সাড়ে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।

২৩ মার্চ পাবনায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের খবর প্রকাশিত হয়েছে। এক ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে গণধর্ষণের অভিযোগ করে গৃহবধূ মামলা করেছেন।

নারী নির্যাতন। প্রতীকী ছবি

একই দিন নওগাঁয় এক কিশোরীকে (১৬) গণধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা তিন তরুণকে আটক করে ধামইরহাট থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।

১২ মার্চের প্রকাশিত খবর বলছে, ধর্ষণের মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে মতিহার থানার পুলিশ। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এক স্বজনের বাসায় নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন দুজনের একজন। অন্যজন সহযোগিতা করেছেন।

৯ মার্চ পুরান ঢাকায় প্রকাশ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একজনকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

একই দিনের আরেকটি খবর বলছে, স্কুলপড়ুয়া মেয়ের শ্লীলতাহানির বিচার চাইতে গিয়ে বিপাকে পড়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী অধ্যাপক। মেয়ের শ্লীলতাহানি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া ও হাইকোর্টে রিট হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

১৩ মার্চ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় স্কুলশিক্ষকের শ্লীলতাহানির অভিযোগে করা মামলায় স্কুলের অফিস সহকারী গ্রেপ্তার হন।

২৩ মার্চ ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) এক শিক্ষার্থীকে আজীবন ও তিন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের ভয়াবহতার মধ্যেও রাজনৈতিক কারণেও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ মার্চ প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সহকারী সম্পাদক মশিউল আলমের লেখায় তেমন এক নির্যাতনের কথা উঠে এসেছে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেদিন যে মুখোশধারী ব্যক্তিরা ওই ছাত্রীর ওপর নির্যাতন চালান, তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আর ছাত্রীটি বিএনপি-সমর্থিত ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের একজন সক্রিয় ও উদীয়মান সদস্য।

করোনাভাইরাসের বিস্তারে গ্রাম–শহর সব জায়গার মানুষ বলতে গেলে ঘরবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তবে এই সুযোগকেও কাজে লাগাতে চেয়েছেন অনেকে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে গোপনে বাল্যবিবাহের আয়োজন।

৩০ মার্চ নেত্রকোনায় বাল্যবিবাহ করতে গিয়ে ঢাকায় কাজ করা এক পোশাকশিল্পের শ্রমিককে ভ্রাম্যমাণ আদালত এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ২৩ মার্চ নেত্রকোনা সদর উপজেলায় বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

করোনাভাইরাসের বিস্তারের মধ্যেও বিভিন্ন জায়গা থেকে নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনা থেমে নেই। ১৫ মার্চ ঢাকার অদূরে সাভারের নবীনগর সেবা গ্রিন লাইন পরিবহনের কাউন্টার থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
২১ মার্চ যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা থেকে এক নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, করোনাভাইরাসের মতো স্বাভাবিক দৃষ্টি ক্ষমতার বাইরের অদৃশ্য শত্রুর সঙ্গে লড়াইয়ের এই কঠিন সময়ও অপরাধপ্রবণ কিছু মানুষকে নিবৃত্ত রাখতে পারছে না। বলা হচ্ছে, নারী এবং নির্যাতক পুরুষটি ঘরে একসঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন বলে পারিবারিক সহিংসতার ঘটনা বেশি ঘটছে। তবে ধর্ষণ, হত্যা, যৌন হয়রানিমূলক অপরাধের ক্ষেত্রে জবাব কী? আতঙ্ক পুষে ঘরবন্দী সময়েও নির্যাতনের হাত থেকে নারীরা রেহাই না পেলে আর কবে রেহাই পাবেন?