Thank you for trying Sticky AMP!!

নাশকতার আগুনে গেল আরও এক প্রাণ

নাশকতার আগুনে দগ্ধ জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) অনেক যন্ত্রণা ও দুর্ভোগ পোহিয়ে অবশেষে হার মানলেন মৃত্যুর কাছে। আজ শুক্রবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে তিনি মারা যান। তিনি বগুড়ার একটি ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। ওই আগুনে ট্রাকের চালক জাহাঙ্গীরের বোনের স্বামী মাসুদ রানাও (৪০) দগ্ধ হন।

গত ২৩ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে বগুড়ার চারমাথা এলাকায় সামনে-পেছনে পুলিশ ও বিজিবির পাহারায় গাড়িবহর পারাপারের সময় একটি ট্রাকে পেট্রলবোমা ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকচালক মাসুদ রানা (৪০) ও তাঁর সহকারী জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) দগ্ধ হন। তাঁদের বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়।

জাহাঙ্গীরের বাবার নাম সাইদ আলী। তাঁদের বাড়ি বগুড়ার কাহালু উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে।

ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন পার্থ শংকর পাল জানান, জাহাঙ্গীরের মুখমণ্ডলসহ শরীরের ৪৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। লাশ বার্ন ইউনিটের মর্গে রাখা হয়েছে।

প্রথম আলোকে জাহাঙ্গীরের স্ত্রীর বোন বিলকিস বেগমের দেওয়া ভাষ্য, লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। জাহাঙ্গীর স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।

প্রায় দুই মাস ধরে চলা অবরোধ-হরতালে পেট্রলবোমা, আগুন ও ককটেল বিস্ফোরণে মারা গেছেন ৫৮ জন। আর সহিংসতার শুরুর দিকে সংঘর্ষে মারা গেছেন চারজন।