Thank you for trying Sticky AMP!!

নিখোঁজের দুদিন পর তরুণের লাশ উদ্ধার, বন্ধুসহ আটক ৩

ওয়াকিব শিকদার

নিখোঁজের দুদিন পর ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা থেকে এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দুইটার দিকে উপজেলার মিঠাপুর চরপাড়া বারাশিয়া নদীসংলগ্ন একটি ঝোপ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত তরুণের নাম ওয়াকিব শিকদার (২৪)। তিনি পাশের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দেউলি গ্রামের জলিল শিকদারের ছেলে। দুই ভাইয়ের মধ্যে ওয়াকিব ছিলেন বড়। ওয়াকিব আলফাডাঙ্গা কলেজে ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি চার বছর ধরে আলফাডাঙ্গা পৌরসভায় অবস্থিত নাজমা মেডিকেয়ার ক্লিনিকের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে বাড়ি থেকে কে বা কারা ডেকে নিয়ে যায় ওয়াকিবকে। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরে পরিবারের পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। এ ঘটনায় আলফাডাঙ্গা থানা-পুলিশ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেউলি গ্রাম থেকে ওয়াকিবের বন্ধু বিল্লাল মোল্লাকে (২৫) আটক করে।

আলফাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে ওয়াকিব হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন বিল্লাল। পরে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে মিঠাপুর চরপাড়া বারাশিয়া নদীসংলগ্ন একটি ঝোপ থেকে ওয়াকিবের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওয়াকিবের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তিনি বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দেউলি গ্রামের ইমন শেখ ও রাকিব নামে আরও দুই তরুণকে আটক করা হয়েছে।

আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, হত্যার ঘটনায় নিহত তরুণের ভাই ওয়ামি সিকদার বাদী হয়ে বিল্লাল, ইমন ও রাকিবের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করে আজ শুক্রবার দুপুরে আলফাডাঙ্গা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি বলেন, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, ওয়াকিবকে অপহরণ করে টাকা নেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল খুনিদের। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া তিন আসামি জানান, অজ্ঞান করার উদ্দেশ্যে ওয়াকিবকে পেছন থেকে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে ওয়াকিব ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে লাশ ঝোপে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান তাঁরা।