Thank you for trying Sticky AMP!!

নির্বাচনী ফায়দা নেওয়ার অভিযোগ

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ঘাগলা মোড়ে গত সোমবার রাতে রবিকুল ইসলাম (১০) নামের এক শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী শাহ আলমকে (২০) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত রবিকুল উপজেলার অচিন্তপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর গ্রামের আবদুস ছাত্তারের ছেলে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে দ্বিতীয় ধাপের আগে রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার জন্য এই হত্যাকাণ্ড হতে পারে বলে সন্দেহ করছেন এলাকাবাসী ও বিভিন্ন প্রার্থী।
পুলিশের দাবি, শাহ আলম শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত কিছু বলছে না পুলিশ।
স্থানীয় ব্যক্তিরা বলেন, নাজিরপুর গ্রামের শাহ আলম কয়েক বছর আগে কাঁঠাল চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন। সালিসে শাহাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিকুল শাহ আলমের বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল। এ নিয়ে রবিকুলের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন তিনি। এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হলে শাহ আলম টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন প্রার্থীর পোস্টার লাগানোর কাজ করতেন। প্রতিদিন ১০০ টাকার বিনিময়ে শাহ আলমের সঙ্গে কয়েক দিন ধরে পোস্টার লাগাচ্ছিল রবিকুল। টাকা নিয়েও দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
রবিকুলের বাবা আবদুস ছাত্তার বলেন, সোমবার বিকেলে শাহ আলম ছেলেকে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় পোস্টার লাগানোর কাজে। পরে রাত নয়টার দিকে ঘাগলার মোড়ে রবিকুলকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় ব্যক্তিরা। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রবিকুল মারা যায়।
হত্যার পরপর অচিন্তপুর ইউনিয়নে বিএনপির মনোনীত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থীর এক পক্ষ অন্য পক্ষকে দায়ী করে বিক্ষোভ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য পরিকল্পিতভাবে রবিকুলকে হত্যা করা হয়েছে অথবা এই হত্যাকাণ্ডের সুযোগে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুল ইসলাম ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলামের সমর্থকেরা হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির প্রার্থী জায়েদুর রহমানকে দায়ী করে শাহাগঞ্জ বাজারে জায়েদুর রহমানের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা করে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শাহাগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ের কয়েক শ শিক্ষার্থী ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শাহ আলমের বাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন দেয়। তখন ঘরের আড়ার ওপর থেকে ছুরি হাতে বের হয় শাহ আলম। পরে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী শাহ আলমকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।