Thank you for trying Sticky AMP!!

পদ্মায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার

.

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নরসিংহপুর ও বেড়াচাক্কি এলাকায় পদ্মা নদীর তিন জায়গায় প্রায় দেড় বছর ধরে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে অবৈধভাবে মাছ শিকার করা হচ্ছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার আলুর বাজার এলাকার চান্দু চৌকিদার নদীতে এসব বেড়া দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভেদরগঞ্জের চরসেনসাস ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকায় চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরিঘাট অবস্থিত। ঘাটের পাশেই বেরাচাক্কি গ্রাম।
নরসিংহপুরে একটি এবং বেরাচাক্কিতে দুই জায়গায় পদ্মা নদীতে বাঁশ ও জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে। নদীতে আড়াআড়ি করে প্রায় ৪০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এসব বেড়া দেওয়া হয়েছে। বাঁশের সঙ্গে চিকন জাল দিয়ে গত বছরের মে মাসে বেড়াগুলো দেওয়া হয়। এসব বেড়ায় ছোট-বড় সব ধরনের মাছ ধরা পড়ে। প্রতিদিন একেকটি বেড়ায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মাছ
ধরা পড়ে। চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার এলাকার চান্দু চৌকিদার পদ্মা নদীতে বেড়া তিনটি স্থাপন করেছেন।
চাঁদপুর-নরসিংহপুর ঘাটের ট্রলারচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, নৌযান চলাচলের জায়গা রেখে নদীতে বেড়াগুলো দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে সমস্যা না হলেও রাতে প্রায়ই নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
চান্দু চৌকিদার বলেন, ‘নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করি। বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা যাবে না—এটা আমার জানা ছিল না। প্রশাসনের লোক এসে বললে বেড়াগুলো খুলে ফেলা হবে।’
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বালা বলেন, ‘নদীতে বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করা উচিত নয়। বেড়াগুলো অপসারণ করার জন্য মৎস্য বিভাগকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি।’
শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কাজী ইকবাল আজম বলেন, ‘নদীতে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে মাছ শিকার করা মৎস্য আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। পদ্মায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে দিয়ে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেছার উদ্দিন জুয়েল বলেন, ‘পদ্মায় বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করার বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’