Thank you for trying Sticky AMP!!

পাঁচ ব্লগারের পর এবার প্রকাশক, শেষ কোথায়?

রাজিব হায়দার, অভিজিৎ রায়, ওয়াশিকুর রহমান, অনন্ত বিজয় দাস, নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়, ফয়সল আরেফিন

একের পর এক ব্লগার খুন হচ্ছেন, হচ্ছেন হামলার শিকারও। হামলায় চলতি বছর মারা গেছেন চারজন। সব মিলিয়ে ২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হয়েছে ৫ জন ব্লগারের নাম। এবার হামলার শিকার হলেন নিহত এক ব্লগারের বইয়ের প্রকাশকেরা।
৫ জন ব্লগার নিহত হয়েছেন। আজকের হামলায় একজন প্রকাশক নিহত হয়েছে। কিন্তু একের পর এক হামলা, বিচারহীনতার কারণে এই যোগফল ৬ হয়েই শেষ হবে বলে মনে করার কারণ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে ৫‍ যোগ ১ এর সঙ্গে আর কত যোগ করতে হবে?
আজ শুক্রবার দুটি প্রকাশনা কার্যালয়ে পৃথক হামলা হয়। ব্লগারদের বই প্রকাশের জন্য হামলা হয়েছে প্রকাশকদের ওপর। উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের লেখা বই প্রকাশ করায় হামলা হয়েছে দুটি প্রকাশনা সংস্থার দুই স্বত্বাধিকারীর ওপর। এই হামলায় একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। হামলায় আহত প্রকাশনা সংস্থা ‘শুদ্ধস্বর’ মালিক আহমেদুর রশীদ টুটুল ও অপর দুজন তারেক রহিম, রনদীপম বসু নিজেরাও ব্লগে লেখালেখি করেন। আর নিহত ফয়সাল আরেফিন দীপন প্রকাশনা সংস্থা ‘জাগৃতি’র মালিক। টুটুল ও দীপন তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে অভিজিৎ রায়ের বই প্রকাশ করেছেন।
উগ্রবাদীরা একর পর এক ব্লগারকে হত্যা করেও ব্লগারদের দমাতে পারেনি। ব্লগারদের লেখা ছাপানো বন্ধ করতে এখন তাই হামলার তালিকায় যুক্ত হয়েছেন প্রকাশকেরা। পর পর দুটি হামলার উদ্দেশ্য প্রকাশকদের মধ্যে ভয় টুকিয়ে ব্লগারদের লেখা না ছাপানোর বার্তা বলেই মনে করছেন পুলিশের কোনো কোনো কর্মকর্তা।
২০১৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার রাজিব হায়দার মিরপুরে নিজ বাড়িতে খুন হন। কিন্তু সেই খুন নিয়ে নানা আলোচনা হলেও এ কোনো বিচার হয়নি। এই ঘটনার দুই বছর পর চলতি বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় খুন হন ব্লগার অভিজিৎ রায়। এর পরের মাসে খুন হন আরেকজন। ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, ১২ মে অনন্ত বিজয় দাস এবং ৭ আগস্ট নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায় খুন হন। হামলার শিকার হন ব্লগার আসিফ মহিউদ্দিন। এই হত্যাকাণ্ডগুলোর ও হামলার বিচার কবে পাওয়া যাবে তা কেউই বলতে পারছে না।

আরও পড়ুন