Thank you for trying Sticky AMP!!

পাবনায় নিখোঁজের দুদিন পর পুকুরে পাওয়া গেল শিশুর ইটবাঁধা লাশ

পাবনার সুজানগর উপজেলায় নিখোঁজের দুদিন পর পুকুরে পাওয়া গেছে ইটবাঁধা শিশুর লাশ। রোববার সকালে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের বড়খাপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়েছিল শিশুটি।

লাশ উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর নাম তানিয়া খাতুন (৫)। সে একই গ্রামের সেলিম সেখের মেয়ে। সেলিম সেখ বলেন, তাঁর মেয়েকে হত্যার পর ইটবেঁধে পুকুরে ফেলা হয়েছিল। এই ঘটনায় তিনি একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রামের আরজু কাজী (২০) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।

পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে তানিয়া বাড়ির উঠানে খেলছিল। হঠাৎ করেই তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। এরপর থেকে পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করছিল। রোববার সকালে গ্রামের একটি পুকুরে তানিয়ার লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে। শিশুটির লাশের সঙ্গে তিনটি বাঁধা ছিল।

এ বিষয়ে নিহত তানিয়ার চাচা হারুন সেখ বলেন, তাঁদের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় একটি পরিবারের বিরোধ আছে। ফলে তিনি ধারণা করছেন, সে বিরোধের জের ধরেই তানিয়াকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়েছে।

একই অভিযোগ তুলে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তানিয়ার বাবা সেলিম সেখ বলেন, ‘ওরা শত্রুতা করে আমার মেয়েকে খুন করেছে। লাশ গুম করতে ইট বেঁধে পুকুরে ডুবাইছে। আমি এর বিচার চাই।’

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুদ্দোজা বলেন, তাঁদের পারিবারিক বিরোধ আছে। এর জের ধরে তানিয়াকে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (সুজানগর সার্কেল) ফরহাদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার আরজু কাজীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে।