Thank you for trying Sticky AMP!!

প্রকৌশলী থেকে জঙ্গি

প্রতীকী ছবি

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র ছিলেন মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুল্লাহ আজমির। তাঁরা দুজনেই সেখান থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তবে প্রকৌশলী হলেও মেহেদী ও আজমির পেশাগত জীবন বেছে নেননি। জড়িয়ে পড়েন জঙ্গি কর্মকাণ্ডে।

নব্য জেএমবির সদস্য হয়ে সম্প্রতি রাজধানীর গুলিস্তান ও সায়েন্স ল্যাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে আইইডি হামলা চালিয়েছিলেন তাঁরা।

আজ সোমবার দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে এ সব কথা জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগ (সিটিটিসি) প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। গতকাল রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয় মো. মেহেদী হাসান তামিম ও মো. আবদুল্লাহ আজমিরকে।

রাজধানীর মিন্টো রোডে মিডিয়া সেন্টারে এই ব্রিফিংয়ে মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, মেহেদী ও আজমিরকে গতকাল সোয়া রাত ৮টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এঁদের কাছে একটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। তারা নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য। কুয়েটে পড়ার সময়ই তাঁরা নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িয়ে যান। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁরা ভোলার একটি দুর্গম চরে প্রশিক্ষণ নেন।
২০১৯ সালের শুরুর দিকে ফরিদ উদ্দিন রুমির ছোট ভাই জামাল উদ্দিন রফিকের নেতৃত্বে একটি সামরিক শাখা প্রতিষ্ঠা করেন (ফরিদ উদ্দিন রুমিকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়)। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ফতুল্লা থানাধীন রফিকের বাসায় বোমা তৈরির একটি কারখানা তৈরি করেন। গত ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে এবং ৩১ আগস্ট সায়েন্স ল্যাবে বোমা (আইইডি) হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া মালিবাগ, পল্টন ও খামার বাড়ির বোমা হামলায় ব্যবহৃত বোমা তৈরিতে বন্ধু রফিককে সহায়তা করেন।

মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, তাদের পরিকল্পনা এবং নেতৃত্বেই সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকায় বিভিন্ন স্থানে পুলিশের ওপর বোমা (আইইডি) হামলা হয়েছে। অতি সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার তক্কার মোড়ে পরিচালিত জঙ্গিবিরোধী অভিযানস্থলে তাঁরা নিয়মিত শলাপরামর্শ করাসহ বিভিন্ন ধরনের বোমার (আইইডি) উৎকর্ষ সাধনে তৎপর ছিলেন। তাঁদের অন্যান্য সহযোগীদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের আজ ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।