Thank you for trying Sticky AMP!!

ফরিদপুরে কিশোরী ও তরুণীর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এক কিশোরীর ঝুলন্ত ও এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে সদর ইউনিয়নের কামারডাঙ্গী গ্রাম থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধার করা হয়। আর রাত আটটার দিকে গাজীরটেক ইউনিয়নের হাজিগঞ্জ বাজার এলাকার কাছে পদ্মা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

দুটি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চরভদ্রাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশিদ।

মারা যাওয়া কিশোরীর নাম স্বর্ণা আক্তার (১৫)। সে সদর ইউনিয়নের কামারডাঙ্গী গ্রামের মৃত মুন্নাফ ব্যাপারীর মেয়ে। তিন বোনের মধ্যে স্বর্ণা ছোট। সে রোকনউদ্দীন সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

স্বর্ণার মেজো বোন বন্যা আক্তার জানান, গতকাল বিকেলে বাড়ির সবাই পার্শ্ববর্তী পদ্মা নদীতে নৌকাবাইচ দেখতে যান। ওই সময় স্বর্ণা একাই বাড়িতে ছিল। বাইচ শেষে বাড়ি ফিরে তাঁরা দোচালা ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকির পর স্বর্ণা দরজা না খুললে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দরজা ভাঙা হয়। পরে তাঁরা ভেতরে ঢুকে স্বর্ণাকে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত স্বর্ণাকে আড়া থেকে নামিয়ে চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ কিশোরীকে মৃত ঘোষণা করেন।

অন্যদিকে, গতকাল রাত আটটার দিকে হাজিগঞ্জ বাজারের কাছে পদ্মা নদী থেকে আনুমানিক ২৫ বছর বয়সী এক তরুণীর গলিত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

গাজীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. ইয়াকুব আলী জানান, গতকাল সন্ধ্যায় হাজিগঞ্জ বাজারের উত্তর–পূর্ব কোণের ডুবো চরে গোসল করতে যায় হাজিগঞ্জ এরশাদিয়া মাদ্রাসার ছাত্ররা। এ সময় তারা অজ্ঞাতনামা ওই তরুণীর লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে এলাকাবাসীকে জানায়। পরে পুলিশ এসে রাত আটটার দিকে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

ওসি হারুন অর রশিদ জানান, দুটি ঘটনায় গতকাল রাতে চরভদ্রাসন থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ দুটি ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।