Thank you for trying Sticky AMP!!

বগুড়ার ধুনটে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে স্কুলছাত্র গ্রেপ্তার

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক স্কুলছাত্রকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের একটি গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্র প্রতিবেশী সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। এতে ওই স্কুলছাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে স্কুলছাত্রকে গালিগালাজ করত। এ কারণে ওই স্কুলছাত্র ক্ষুব্ধ হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে যায়। এ সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা স্কুলছাত্র তাঁকে জোর করে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় ধর্ষণ করে। এ সময় তার চিৎকারে পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই স্কুলছাত্র পালিয়ে যায়। ঘটনার পরে ওই ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফলে ওই রাতেই দুইটার দিকে তাকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু স্কুলছাত্রী আরও অসুস্থ হয়ে পড়লে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে তাকে আবারও ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ সময় স্কুলছাত্রীর পরিবারের অভিযোগে থানা-পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে স্কুলছাত্রকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।
থানাহাজতে আটক স্কুলছাত্র জানায়, ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তার পরিবারের পূর্ব থেকে একটি বিরোধ ছিল। এ কারণে প্রতিশোধ নিতে তাকে মিথ্যা ঘটনায় ফাঁসানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক অঙ্কিতা রব বলেন, মেয়েটির শরীর থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। এ কারণে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধুনট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা ছাড়া ধর্ষণের ঘটনা সঠিকভাবে বলা যাবে না।