Thank you for trying Sticky AMP!!

বরের বাড়িতে নিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল স্কুলছাত্রীকে

প্রতীকী ছবি

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বরের বাড়িতে নিয়ে বিয়ে দেওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। বর সম্পর্কে মেয়েটির মামাতো ভাই। তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহটি পণ্ড হয়ে যায়।

আজ বুধবার দুপুরে ওই বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ে বন্ধ করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে দেওয়ার জন্য মামার বাড়ি কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নে নিয়ে আসা হয়। বর মেয়েটির মামাতো ভাই। ওই বাড়িতে দুই পক্ষই বিয়ের আয়োজন করে।

বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান ওই বাড়িতে গিয়ে হাজির হন। ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে বর-কনেসহ বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পরে বরের মা ও মেয়েটির বড় বোনকে ঘটনাস্থলে পান ভ্রাম্যমাণ আদালত। মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না বলে মেয়ের বোন মুচলেকা দিলে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়।

হাছিবা খান প্রথম আলোকে বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর পেয়ে কনে ও বর পালিয়ে গেছেন। পরে পরিবারের অন্য সদস্যদের বোঝানো হয়েছে। বাল্যবিবাহ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। ১৮ বছর পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল-জরিমানা দেওয়া হবে।