Thank you for trying Sticky AMP!!

বহুতল ভবন থেকে পড়ে বিমা কর্মকর্তার মৃত্যু, পুলিশের ধারণা আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর বনানীতে একটি বহুতল ভবন থেকে পড়ে বিমা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বনানীর বিটিআই ভবনের ১১ তলা থেকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ।

ওই বিমা কর্মকর্তার নাম হুমায়ূন কবির (৫৫)। তিনি সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) শাখার কর্মকর্তা ছিলেন।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বেলা ১১টার দিকে বিটিআই টাওয়ার থেকে হুমায়ূন কবিরকে সড়কে পড়ে যেতে দেখা যায়। পড়ে যাওয়ার আগে ওই ভবনের সামনে বিভিন্ন সেবাপ্রতিষ্ঠানের তারের সঙ্গে তাঁর শরীর লেগে যায়। সড়কে পড়ার সময় তারের টুকরো হ‌ুমায়ূনের শরীরে জড়িয়ে ছিল। সড়কে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাথা ফেটে যায়। এ ঘটনার মিনিট দশেক পর রিকশায় তুলে তাঁকে বিটিআই ভবনের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যান। রিকশায় তোলার সময় তিনি বেঁচে ছিলেন।

বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ১৬ তলার বিটিআই টাওয়ারের ১১ তলায় সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের কার্যালয়। ১১ তলার জানালা খুলে হুমায়ূন কবির নিচে লাফ দেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সিআইডি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে।

ওসি নূরে আজম মিয়া আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, হতাশা থেকে হুমায়ূন কবির লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। হুমায়ূন কবিরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

এদিকে সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এ কে এম শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘হুমায়ূন কবির এই প্রতিষ্ঠানের একটি বিভাগের প্রধান ছিলেন। তাঁর পদবি সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর। তাঁর বাড়ি বরিশালে। ঢাকার হাজীপাড়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। তাঁর মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তাঁর স্ত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ। মেয়ে মাকে দেখাশোনা করেন। ফলে এই ঘটনার পর পরিবারের কেউ হাসপাতালে আসতে পারেননি।’ শেয়ারবাজারে লোকসানের কারণে হুমায়ূন কবির আত্মহত্যা করেছেন বলে কেউ কেউ বলছেন। এ বিষয়ে এমডি শরিফুল ইসলাম বলেছেন, ‘শেয়ারবাজারের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’

নিহত হুমায়ুন কবিরের ভগ্নিপতি মো. তারেক প্রথম আলোকে বলেন, তিনি (কবির) আত্মহত্যা করতে পারেন, তা আমাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। তারপরও তারা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ নিয়ে এসেছেন। শেয়ার বাজার ধসের সঙ্গে এর কোনো যুক্ততা নেই।