Thank you for trying Sticky AMP!!

বাড্ডায় তিন খুনে দুজনের সংশ্লিষ্টতা স্বীকার

গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগের কর্মী নূর মোহাম্মদ ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের থানা পর্যায়ের নেতা ফারুক ওরফে মিলনকে দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে হাজির করা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

রাজধানীর বাড্ডায় গুলি করে তিন খুনের মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। পুলিশের দাবি, রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারায় গতকাল রোববার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন তাঁরা।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজন হলেন ছাত্রলীগের কর্মী নূর মোহাম্মদ ও বাড্ডা থানা আওয়ামী লীগের থানা পর্যায়ের নেতা ফারুক ওরফে মিলন।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ডিবি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার হওয়া নূর মোহাম্মদ ও ফারুক ওই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যার কারণ, পরিকল্পনা ও হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের বর্ণনা সম্পর্কেও তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁর দাবি, ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী ও পৃষ্ঠপোষকতাকারী ফারুক ওরফে মিলন। তিনি বাড্ডা এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আর নূর মোহাম্মদের বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর থানায়।
মনিরুল ইসলামের ভাষ্য, ওই হত্যাকাণ্ডে আটজনের একটি দল জড়িত ছিল। সবার নাম-ঠিকানা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মূলত ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এর পেছনে আরও কোনো কারণ আছে কি না, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে মধ্য বাড্ডার আদর্শনগরে একটি পানির পাম্পের সামনে চেয়ারে বসে থাকা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাসহ চারজনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁদের মধ্যে ঢাকা উত্তরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামসু মোল্লা, ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ওরফে গামা এবং স্থানীয় একটি হাসপাতালের সাবেক কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ মারা যান। আহত আবদুস সালাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি রিকশার গ্যারেজের মালিক। তাঁর স্বজনদের দাবি, সালাম স্থানীয় যুবলীগের নেতা।

আরও পড়ুন:

বাড্ডায় হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কোন্দল