Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএমডিএর ৭ কোটি টাকার অনিয়ম পেল দুদক

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সাত কোটি টাকার অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক আজ বৃহস্পতিবার অনুসন্ধান করতে গিয়ে এই অনিয়ম পেয়েছে।

দুদকের সমন্বিত রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বায়েজিদুর রহমান খান এ অনুসন্ধান করেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দুদকের এ দুই কর্মকর্তা রাজশাহীতে বিএমডিএর প্রধান কার্যালয়ে যান। বেলা ২টা পর্যন্ত তাঁরা দপ্তরের ২৪টি শাখার প্রায় প্রতিটি নথি খতিয়ে দেখেন। এ সময় তাঁরা প্রায় ৭ কোটি টাকার অনিয়মের প্রমাণ পান বলে জানিয়েছেন।

অনুসন্ধান দলের প্রধান আলমগীর হোসেন জানান, কোটেশনের মাধ্যমে কেনাকাটা, আমবাগান ইজারা দেওয়া, নীতিমালা লঙ্ঘন করে পদোন্নতি ও টাইম স্কেল নেওয়া, ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া, বিদ্যুতের বাণিজ্যিক মিটার দেখিয়ে আবাসিক ব্যবহার করে অনিয়ম করা হয়েছে। একইভাবে সহকারী প্রকৌশলীদের আবাসিক ভবনকে অফিস হিসেবে দেখিয়ে অনিয়ম করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয়ে অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিষয়গুলো প্রতিবেদন আকারে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএমডিএর দুর্নীতির বিষয়ে সম্প্রতি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংস্থার এনফোর্সমেন্ট বিভাগ থেকে সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালককে ওই বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ আদেশের পরদিনই দুদকের দুই কর্মকর্তা বিএমডিএতে অনুসন্ধানে যান।

রাজশাহীর দুদক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, অনুসন্ধানে যা পাওয়া গেছে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। তারপর সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালয় মামলা করতে বললে তাও করা হবে।

দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার বিকেলে বিএমডিএর চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন চৌধুরীকে ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন না ধরার কারণে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, দুদক এত অল্প সময়ের অনুসন্ধানে কীভাবে এত বড় অনিয়মের কথা বলছে, তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি ঢাকায় রয়েছেন জানিয়ে বলেন, দুদকের অনুসন্ধানে আসার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তিনি বলেন, একটি চক্র তাঁর পেছনে লেগেছে । তারা এসব অভিযোগ করেছে। দুদক এগুলো নিয়ে মাঠে নেমেছে। কিন্তু এগুলোর সবই অডিট আপত্তি। তিনি যদি প্রমাণ করতে পারেন যে অনিয়ম হয়নি, যদি অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি হয়ে যায় তাহলে এই অভিযোগ আর ধোপে টিকবে না।