Thank you for trying Sticky AMP!!

বিএসএফের নির্যাতনে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্যাতনে এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সূত্র জানিয়েছে, বিএসএফ ওই বাংলাদেশি যুবককে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

নিহত বাংলাদেশি যুবকের নাম মো. কামাল (৩২)। তাঁর বাড়ি হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামে।

বিজিবি, হরিপুর থানার পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কামালসহ একটি গরু পারাপারকারী রাখাল দল গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে হরিপুরের গেদুড়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০ নম্বর সীমানা পিলার এলাকার শূন্যরেখায় গরু আনতে যান। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফের নারগাঁও ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালাতে পারলেও কামাল বিএসএফের সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।

পরে বিএসএফের সদস্যরা তাঁকে মারধর করে মুমূর্ষু অবস্থায় সীমান্তে ফেলে যায়। সঙ্গীরা কামালকে সেখান থেকে তুলে আনেন। পথে তাঁর মৃত্যু হলে সঙ্গীরা আজ শুক্রবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে লাশ কামালের বাড়িতে রেখে যান।

ঘটনাটি শুনে কামালের বাড়িতে যান গেদুড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ। মুঠোফোনে তিনি প্রথম আলোকে জানান, ‘বিএসএফের নির্যাতনে কামালের মৃত্যু হয়েছে শুনে তাঁর বাড়িতে এসেছি। আমি তাঁর লাশ দেখেছি। তাঁর মাথা, পিঠ, হাত, পাসহ সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ থেকে বোঝা যায়, প্রচণ্ড মারধরের কারণেই কামালের মৃত্যু হয়েছে।’

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিরুজ্জামান জানান, কামাল বিএসএফের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। সুরতহালে লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও-৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম সামিউন নবী ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমান্তে কামাল নামে এক ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেছে। তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে না বিএসএফের নির্যাতনে মারা গেছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে ওই ব্যক্তিকে মারধরের বিষয়টি বিএসএফ অস্বীকার করেছে। এ বিষয়ে আজ সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। এরপরই আসল তথ্য পাওয়া যাবে।