Thank you for trying Sticky AMP!!

বিধবাকে ধর্ষণের পর খুন : মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিধবা নাজমা আক্তারকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার প্রধান আসামি ছাত্রলীগ নেতা আবু শিহাবকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সহযোগিতায় টাঙ্গাইল শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল শুক্রবার সকালে আবু শিহাবকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হওয়া আবু শিহাব সখীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক। আবু শিহাব উপজেলার মুচারিয়া পাথার গ্রামের বাসিন্দা। এদিকে নাজমা খুনের আরেক আসামি হাবিবুর রহমানকে গতকাল বিকেলে তিন দিনের রিমান্ডে এনেছে পুলিশ।

২১ এপ্রিল ওই মামলার আসামি আলমগীর হোসেন টাঙ্গাইল আদালতে ছাত্রলীগ নেতা আবু শিহাবের নেতৃত্বে সাত তরুণ মিলে নাজমা আক্তারকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে হত্যা করেন বলে বিচারিক হাকিমের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। নাজমার স্বামী নছর আলী ১০ বছর আগে মারা যান। গত বছরের ৫ অক্টোবর সখীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের প্রতিমা বংকী গ্রামের নিজ বাসা থেকে পুলিশ নাজমা আক্তারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

সখীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শামসুল হক জানান, বাসায় ওই নারী একা থাকতেন। আসামি সাত তরুণ তিনটি মোটরসাইকেলে করে রাতে ওই নারীর বাড়িতে যান। আসামিরা কুপ্রস্তাব দিলে ওই নারী চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। একপর্যায়ে ওই সাত তরুণের কয়েকজন ওই নারীর পা ও কয়েকজন মুখে গামছা গুঁজে দিয়ে মাথা চেপে ধরেন।

এভাবে নেশাগ্রস্ত সাতজনের ছয়জনই ধর্ষণে অংশ নেন। ওই নারীকে প্রথম ধর্ষণ করে আবু শিহাব। শেষ তরুণ ধর্ষণের সময় বুঝতে পারেন ওই নারী শ্বাসরোধ হয়ে মারা গেছেন। পরে তরুণেরা লাশ ঘর থেকে টেনে বের করে বাইরের টিনের তৈরি গোসলখানায় রেখে দরজা বন্ধ করে সটকে পড়েন।

সখীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এ এইচ এম লুৎফুল কবির বলেন, ঘটনার মূল নায়ক ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি চার আসামিকেও খুব শিগগির গ্রেপ্তার করা হবে।