Thank you for trying Sticky AMP!!

বিয়ের কথা বলে ‘ধর্ষণ’, মামলার বাদীকে হুমকির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

ঢাকার একজন সফটওয়্যার প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে বিয়ের করার কথা বলে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন এক নারী আলোকচিত্রী। এ বিষয়ে মামলার তিন মাসেও রিজওয়ানুল ইসলাম ওরফে রিয়াদ (৩৩) নামের আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এই সুযোগে অভিযুক্ত রিয়াদের স্বজনেরা মামলা তুলে নিতে ভুক্তভোগী নারীকে হুমকি–ধমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই নারী আলোকচিত্রীর বরাত দিয়ে কলাবাগান থানার পুলিশ জানায়, গত জানুয়ারি মাসে রিজওয়ানুল ইসলামের সঙ্গে ওই নারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয়। রিজওয়ানুল প্রেমের প্রস্তাব দিলে তিনি অস্বীকার করেন। পরে রিজওয়ানুল তাঁকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেন। গত ফেব্রুয়ারিতে ওই নারী চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। সেখান থেকে ফেরার পর রিজওয়ানুল তাঁর খোঁজখবর নিয়ে ঘনিষ্ঠ হন। পরে রিজওয়ানুল তাঁর ছোট ভাইয়ের বিয়ের কথা বলে ওই নারীর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেন। পরে সেই টাকা চাইতে গেলে রিজওয়ানুল ওই নারীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। পরে রিজওয়ানুল তাঁর কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চান।

এরপর গত ২৭ মে সকালে রিজওয়ানুল ওই নারীর বাসায় গিয়ে তাঁকে ‘ধর্ষণ’ করেন। লোকলজ্জার ভয়ে প্রথমে তিনি চুপ থাকলেও ৪ জুলাই রিজওয়ানুলের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় ধর্ষণের মামলা করেন। অভিযুক্ত রিজওয়ানুল ইসলামের বাড়ি নীলফামারীর পূর্ব কুখাপাড়ার নতুন জেলখানা রোডে। তিনি বনানীর একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। থাকতেন মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর সড়কের ১৯৭ নম্বর বাড়িতে।

মঙ্গলবার ভুক্তভোগী নারী প্রথম আলোর কাছে অভিযোগ করেন, রিজওয়ানুল গ্রেপ্তার না হওয়ায় তাঁর ভাইসহ স্বজনেরা এখন মামলা তুলে নিতে নানা ধরনের ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন।

গত রোববার এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের নিউমার্কেট অঞ্চলের সহকারী কমিশনার (এসি) শরিফ মোহাম্মদ ফারুকুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, পরিকল্পিতভাবে রিজওয়ানুল ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই তিনি পালিয়ে গেছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তিনি যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে জন্য পুলিশের ইমিগ্রেশন বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

হুমকির বিষয়ে এসি ফারুকুজ্জামান ভুক্তভোগী নারীকে কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।