Thank you for trying Sticky AMP!!

মাউশির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস: দুই শিক্ষক ও মাউশির দুই কর্মচারী রিমান্ডে

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি)

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নিয়োগ পরীক্ষায় ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান পেয়েছিলেন এমন অন্তত ১৫ পরীক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) । এ ঘটনায় দুই শিক্ষক ও মাউশির দুই কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে এখন রিমান্ডে আছেন।

ডিবি বলছে, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই পরীক্ষার্থীদের শনাক্ত করা হয়েছে। তথ্য যাচাই-বাচাই করে ওই তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহদাত হোসেন সুমা আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থীর নাম পেয়েছি। যারা ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সমাধান পেয়ে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়েছেন।’

অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে গত শুক্রবার ঢাকার ৬১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হয়। ৫১৩টি পদের জন্য পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৮৩ হাজার। রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালে প্রশ্নপত্র ফাঁস করার অভিযোগে সুমন জোয়াদ্দার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর প্রবেশপত্রের পেছনে ৭০ নম্বরের উত্তর লেখা ছিল।

ডিবি বলছে, সুমনকে উত্তরপত্র পাঠিয়েছিলেন পটুয়াখালীর খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণিত শিক্ষক সাইফুল ইসলাম। গত সোমবার রাজধানী থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সাইফুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর টিকাটুলী ও ওয়ারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩৪তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা ও পটুয়াখালী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক রাশেদুল ইসলাম, মাউশির উচ্চমান সহকারী আহসান হাবিব ও অফিস সহকারী নওশাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

এদিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে আজ সাইফুল ইসলামকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিবি। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট ডিবির এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে জব্দ মুঠোফোন ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।