Thank you for trying Sticky AMP!!

মাকে হত্যার পর দুই মেয়েকেও হত্যার চেষ্টা

যশোরে স্লাইরেন্স (নাট-বল্টু খোলার যন্ত্র) দিয়ে মাথায় আঘাত করে এক নারীকে (৩৭) হত্যা করেছে এক যুবক। ওই নারীর চিৎকারে পাশের ঘর থেকে তাঁর দুই মেয়ে ছুটে এলে ঘাতক ওই দুই কিশোরীকেও গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে যশোর সদর উপজেলার কেসমত নওয়াপাড়া গ্রামে রজনীগন্ধা পেট্রলপাম্পের পেছনে একটি চারতলা ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

হত্যার শিকার নারীর নাম কল্পনা বেগম। এই নারী তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে দুই মাস আগে ওই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে ওঠেন। তাঁর স্বামী যশোর সদর উপজেলার সাজিয়ালি গ্রামের মো. সোহেল। তিনি ঢাকায় থাকেন বলে ওই দুই মেয়ে জানিয়েছে। অবশ্য সোহেল কল্পনার দ্বিতীয় স্বামী। আর কিশোরী দুই মেয়ে কল্পনার প্রথম স্বামীর।

পুলিশের ভাষ্যমতে, সন্ধ্যা সাতটার দিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, ‘রুবেল (২৫) নামে এক ছেলের সঙ্গে কল্পনার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যে সে ওই বাড়িতে আসত। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রুবেল ওই বাড়িতে আসে। রাতে ওই বাড়িতেই সে ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে রুবেল স্লাইরেন্স দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওই নারীকে হত্যার পর দুই মেয়েকেও হত্যার চেষ্টা করে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে দুই মেয়েকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কল্পনার বড় মেয়ে (১৫) প্রথম আলোকে বলে, ‘বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে রুবেল নামের ওই ছেলেটি ফালুদা নিয়ে আমাদের বাড়িতে আসে। ওই ফালুদা আমাদের দুই বোনকে খেতে দেওয়া হয়। খাওয়ার পরে মাথা ঘুরাতে থাকে। মাসহ আমরা দুই বোন ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে রুবেল চলে যায়। আবার দুপুরে আসে। এ সময় আমরা পাশের ঘরে ছিলাম। সন্ধ্যায় হঠাৎ চিৎকারের শব্দ শুনে পাশের রুমে গিয়ে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন। তখন রুবেল আমার ছোট বোনের (১০) গলায় রশি দিয়ে ফাঁস দেওয়ার চেষ্টা করে। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। তখন সে আমার গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করে। পরে সে পালিয়ে যায়।’ রুবেলের পরিচয় সম্পর্কে সে জানায়, ‘রুবেল আমার খালাতো ভাই হৃদয়ের বন্ধু। আমরা এতটুকুই তাঁকে চিনি।’

পরিবারের সদস্যরা জানান, এই দুই মেয়ে কল্পনা বেগমের প্রথম পক্ষের। কয়েক বছর আগে প্রথম স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। এরপর এক বছর আগে তিনি সোহেলকে বিয়ে করেন। কিন্তু নতুন এই বাসায় এখনো আসেননি সোহেল।