Thank you for trying Sticky AMP!!

মাগুরায় ভাটাশ্রমিক খুন

ছবিটি প্রতীকী

মাগুরার মহম্মদপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় মোক্তার মোল্যা (৬৫) নামের এক ভাটাশ্রমিক খুন হয়েছেন। উপজেলার বাবুখালী ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামে আজ শনিবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

মোক্তার মোল্যা ওই গ্রামের মৃত জলিল মোল্যার ছেলে। তিনি ওই এলাকার একটি ইটভাটায় কাজ করতেন। পূর্ববিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।

মোক্তারের পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ ফজরের নামাজ আদায় করে মোক্তার মসজিদ থেকে বের হলে প্রতিপক্ষের ১০-১২ জন তাঁর ওপর হামলা চালান। এ সময় তাঁরা রামদা দিয়ে তাঁকে কোপান এবং বল্লম দিয়ে আঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। গুরুতর আহত মোক্তার মোল্যাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মশিউর রহমান জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মোক্তারকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

মোক্তারের স্ত্রী মাজেদা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী এলাকার মসজিদে নামাজ আদায় করে ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে কারা খুন করে, তা আমি জানি না। আমার স্বামীর সঙ্গে কারও বিরোধ ছিল না।'
মোক্তারের ভাইয়ের ছেলে রায়হান মোল্লা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় জাফর মোল্যা ও আকতার বিশ্বাসের মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। জাফর মোল্লার অনুসারী ছিলেন আমার চাচা। আমরা ধারণা করছি, আকতার বিশ্বাসের লোকজনই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।’

এই ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সকালে একটি বাড়িতে আগুন ও কয়েকটি বাড়িতে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আকতার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।

মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস জানান, জাফর মোল্যা ও আকতার বিশ্বাসের মধ্যে জমিজমা নিয়ে আগে থেকেই বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরেই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মোক্তারের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।