Thank you for trying Sticky AMP!!

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত

মাদারীপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত লুৎফর হাওলাদারের বাড়িতে চলছে মাতম। ছবিটি আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: প্রথম আলো

মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে লুৎফর হাওলাদার (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গাছবাড়িয়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ইউনুস চৌদিকার ও লালমিয়া মাতুব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দুই পক্ষের মধ্যে হামলা, মামলা, সংঘর্ষ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে আসছে। সম্প্রতি এই এলাকায় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটের ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই গাছবাড়ীয়া এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে। আর এই সুযোগে লালমিয়া মাতুব্বরের লোকজন আজ সকালে হামলা চালায়। তাঁরা প্রথমে হান্নান ব্যাপারীর বাড়ি ভাঙচুর করেন। আশপাশের একাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ইউনুস চৌকিদারের পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে লুৎফর হাওলাদার নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময় আহত হন ১০ জন। বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তারের আতঙ্কে আহত ব্যক্তিদের কেউ মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হননি।

নিহত লুৎফর হাওলাদারের বোন নিলু বেগম বলেন, ‘সকালে হঠাৎ করে আমাদের ঘরে হামলা চালিয়েছে। লুৎফর একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সহিদ মাতুব্বর, তৈয়া, বাসার, পলাশসহ লাল মিয়ার লোকজন এসে আমার ভাইকে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমার ভাইকে যারা হত্যা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই।’ নিহত লুৎফর হাওলাদারের ছোট ভাই সুমন বলেন, ‘এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সবাই পালিয়ে বেড়াচ্ছে। পুলিশ আমাদের লোকজনকে ধাওয়া করছে। তাই সবাই এখন গ্রাম ছাড়া। পুলিশের কাছে অনুরোধ, আমার ভাইকে যারা মেরেছে তারা যেন কোনভাবেই পালাতে না পারে।’

স্থানীয়রা বলছেন, ইউনুস চৌদিকার ও লালমিয়া মাতুব্বরের রাজনৈতিক কোনো পদ না থাকলেও তাঁরা র্দীঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার করে আসছেন। জমি-জমা, স্থানীয় সালিস–মিমাংসা নিয়েও তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকেই ইউনুস চৌদিকার ও লালমিয়া মাতুব্বর এলাকায় আত্মগোপন করেছেন। তাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

জানতে চাইলে মাদারীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলেন, ‘সংঘর্ষে নিহত লুৎফর হাওলাদার নামে একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাঁর শরীরের পেছনে আঘাতের চিহ্ন আছে। এলাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’