Thank you for trying Sticky AMP!!

মানব পাচার: ব্রাজিলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি

ব্রাজিলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক মানব পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম সাইফুল্লাহ আল-মামুন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, তিনি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় মানব পাচারকারীদের একজন।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মার্কিন ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের সহযোগিতায় গত বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে মামুনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে মানব পাচারের কাজ করেন।

আল-মামুন সাও পাওলোতে বসবাস করেন। মামুন ছাড়াও ব্রাজিলের আরও তিনটি শহরে অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে পুলিশ ৪২টি ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে। পাচারকারীদের আর্থিক সহায়তা দিতে এসব ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করা হতো।

শরণার্থী হিসেবে ছয় বছর আগে আল-মামুন ব্রাজিলে ঢোকেন। শুরুতে তিনি ব্রাসে থাকতেন। এরপর তিনি সাও পাওলো চলে আসেন। বলা হয়, এই শহর হলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের বাড়ি।

যুক্তরাষ্ট্রের করা অভিযোগে অভিযুক্ত আল-মামুন। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের তথ্যমতে, আল-মামুন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে আসা লোকজনকে ঠাঁই দেন। এরপর পেরু, ইকুয়েডর, কলম্বিয়া, পানামা, কোস্টারিকা, নিকারাগুয়া, হন্ডুরাস, গুয়াতেমালা ও মেক্সিকোতে থাকা পাচারকারীদের মাধ্যমে ঠাঁই দেওয়া লোকজনকে পাচার করেন।

ব্রাজিলের পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মামুন ও তাঁর দল আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান থেকে লোকজনকে ব্রাজিলে পাচার করে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রে। দলটি প্রথমে এসব লোককে ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ আকরেতে পাঠায়। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে যাত্রা হয় তাঁদের। যাত্রার আগে অপেক্ষার সময়টা তাঁদের অনেক অত্যাচার-নির্যাতন করা হয়। গন্তব্যে পৌঁছাতে মধ্য আমেরিকা হয়ে ম্যাক্সিকান সীমান্ত পর্যন্ত তাঁদের পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ ও বিপজ্জনক পথ। ম্যাক্সিকান সীমান্ত টপকাতে পারলেই যুক্তরাষ্ট্র।

ব্রাজিলের পুলিশ জানায়, মামুন এশিয়া থেকে আসা লোকজনকে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছে দিতে জনপ্রতি নিতেন ১২ হাজার ৫২৪ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১০ লাখ ৬১ হাজার ৭১৯ টাকা। আবার অনেককে ব্রাজিলে থাকার জন্য ভুয়া কাগজপত্রও সরবরাহ করা হয়।

পুলিশ জানায়, মেক্সিকো-যুক্তরাষ্ট্র সীমান্ত পথের যাত্রায় আট বাংলাদেশির একটি দল এক মাদক ব্যবসায়ীর হাতে পড়ে।