Thank you for trying Sticky AMP!!

মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় রিপন হোসেন ওরফে লেবু (৪৫) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বায়রা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

রিপন হোসেন স্থানীয় জামালপুর গ্রামের মোসলেম ব্যাপারীর ছেলে। তিনি এলাকায় মাটি ও বালুর ব্যবসা করতেন।

রিপনের পরিবারের অভিযোগ, এলাকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিপনের সঙ্গে বায়রা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলীর (৪৬) শত্রুতা ছিল। এর জের ধরেই হায়দার ও তাঁর লোকজন রিপনকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে।

পুলিশ, রিপনের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রিপন হোসেন আগে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও সম্প্রতি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তবে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো পদে ছিলেন না। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এলাকায় মাটি ও বালুর ব্যবসা করে আসছিলেন। এদিকে বায়রা বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। এলাকায় মাটির ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে আধিপত্য নিয়ে তাঁদের দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের পাশে রিপনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত রিপনের ছোট ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, হায়দার আলী এলাকায় বিচার–সালিসের নামে নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করতেন। এ ছাড়া বাজারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনিয়ম করতেন। এ নিয়ে তাঁর ভাই রিপন প্রতিবাদ করতেন। সম্প্রতি বায়রা বাজার-শিবপুর সড়কের নির্মাণকাজের দায়িত্ব পান তাঁর ভাই। এসব বিষয় নিয়ে হায়দার তাঁর ভাইয়ের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বায়রা বাজার থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন তাঁর ভাই। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের পাশে ওত পেতে থাকা হায়দার আলী ও তাঁর ১০-১২ জন সহযোগী রামদা, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল দিয়ে রিপনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যান।

এ ব্যাপারে আজ বিকেলে কথা বলতে বায়রা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দেওয়ান জিন্নাহর মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। হায়দার আলীর মুঠোফোন নম্বরও বন্ধ ছিল।

সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাত্তার মিয়া বলেন, রিপনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।