Thank you for trying Sticky AMP!!

মামলা তুলে না নেওয়ায় মুখে কালি মেখে দেওয়ার অভিযোগ

টাঙ্গাইলের সখীপুরে পর্নোগ্রাফি আইনে করা মামলা তুলে না নেওয়ায় আসামিরা বাদীর মাথার চুল কেটে মুখে কালি মেখে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলার বাদী ওই তরুণ সখীপুর থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৬ আগস্ট মামলার আসামিরা ওই তরুণকে (১৯) জোরপূর্বক ধরে নিয়ে যায়। এরপর তারা তাঁকে মারধর ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। ওই ঘটনায় গত ৮ আগস্ট স্থানীয় স্টার বয়েজ ক্লাবের সদস্য শরীফুল ইসলাম ওরফে কালা শরীফসহ (২২) পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ওই তরুণ। ওই তরুণ অভিযোগ করেন, ওই মামলা তুলে নিতেই তাঁর ওপর আবার নির্যাতন চালানো হয়েছে।

পাঁচজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাড়ির সামনে থেকে ওই তরুণকে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে একটি বনের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে আগের মামলার প্রধান আসামি শরীফুল ইসলাম, সুপ্তসহ চারজন অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে ওই তরুণকে তাঁরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। কিন্তু মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ওই তরুণের মাথার চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেন।

ওই তরুণ ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বুধবার রাত আটটার দিকে পাঁচজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী বাড়ির সামনে থেকে ওই তরুণকে ধরে মোটরসাইকেলে তুলে একটি বনের ভেতর নিয়ে যায়। সেখানে আগের মামলার প্রধান আসামি শরীফুল ইসলাম, সুপ্তসহ চারজন অপেক্ষা করছিলেন। সেখানে ওই তরুণকে তাঁরা মামলা তুলে নিতে হুমকি দেন। কিন্তু মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ায় তাঁরা ওই তরুণের মাথার চুল কেটে মুখে কালি মেখে দেন। পরে দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁরা তাঁকে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদুল ইসলামের বাড়ির কাছে রেখে চলে যান। এ ঘটনায় গতকাল রাতে আগের মামলার আসামি শরীফুল ইসলাম, সুপ্তসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

আগের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন আসামি গত ৯ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। চুল কেটে মুখে কালি মাখানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আমির হোসেন, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সখীপুর থানা

সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেন আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগের মামলায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। একজন আসামি গত ৯ আগস্ট আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। চুল কেটে মুখে কালি মাখানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’