Thank you for trying Sticky AMP!!

মালিটোলা বিপণিবিতানে যুবলীগের অবৈধ কার্যালয়

পুরান ঢাকার ইংলিশ রোডে মালিটোলা বিপণিবিতানের ছাদে অবৈধভাবে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন করে আরেকটি কার্যালয় নির্মাণে কাজ চলছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।

স্থানীয় বাসিন্দা ও মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ডিএসসিসির ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটের তালিকায় আছে মালিটোলা বিপণিবিতান। অথচ এই মার্কেটের ওপর স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে মার্কেটটি ধসে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। মার্কেটটির মালিক ডিএসসিসি।

গতকাল রোববার সরেজমিনে দেখা যায়, ইংলিশ রোডের পশ্চিম পাশে দোতলা মালিটোলা বিপণিবিতানের ছাদে রয়েছে টিনশেডের একটি স্থাপনা। এর আয়তন প্রায় ৮০০ বর্গফুট। স্থাপনাটির সামনে বড় আকারের একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে: ‘ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রধান কার্যালয়’। তবে কার্যালয়ের ভেতর কাউকে পাওয়া যায়নি। দেখা গেছে, এই বিপণিবিতানের প্রায় প্রতিটি স্তম্ভে ফাটল ও পলেস্তারা খসে পড়েছে।

ডিএসসিসি সূত্র ও মালিটোলা বিপণিবিতানের ব্যবসায়ীরা জানান, ১৯৮০ সালের দিকে এই বিপণিবিতানটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে ভবনটির ওপর নকশাবহির্ভূতভাবে কার্যালয় নির্মাণ করেন যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। ২০০১ সালে এই কার্যালয়টি দখল করে বংশাল থানা ছাত্রদল। পরে ২০১০ সালে আবার কার্যালয়টি দখল করেন যুবলীগের নেতারা। এরপর থেকে এই কার্যালয়টি তাঁদের দখলে রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন, এই মার্কেটে নকশাবহির্ভূতভাবে এই কার্যালয় নির্মাণ করা হয়েছে। বিষয়টি ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তা অপসারণে তারা কোনো কাজ করছে না।

কার্যালয় নির্মাণের পর ডিএসসিসি থেকে এই জায়গার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিকুর রহমান। তিনি বলেন, ওই মার্কেটের ছাদে কার্যালয় নির্মাণে ৩০০ বর্গফুট আয়তনের জায়গা তাঁদের বরাদ্দ দিয়েছে ডিএসসিসি। তবে ছাদ ফাঁকা থাকায় তাঁরা ৫০০ বর্গফুট দখল করে রেখেছেন।

ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যুবলীগকে ওই কার্যালয় নির্মাণে লিখিত কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। তারা ডিএসসিসিকেও রাজস্ব দেয় না। শিগগিরই মার্কেটটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হবে।