Thank you for trying Sticky AMP!!

মা ও শিশুকে কোপাল উত্ত্যক্তকারী

কলেজছাত্র রনি আহমেদ (২২) পরিবারের সঙ্গে একটি বাসার তৃতীয় তলায় থাকতেন। ওই বাসার নিচতলায় স্বামী-সন্তানকে নিয়ে থাকতেন শারমিন নাহার (২৬)। বাসায় আসা-যাওয়ার মধ্যে শারমিনকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন রনি। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দেখা দেয় বিবাদ। তাই গতকাল শুক্রবার শারমিন ওই বাসা ছেড়ে দিয়ে ওঠেন অন্য একটি বাসায়। আজ শনিবার নতুন বাসায় গিয়ে শারমিনকে কুপিয়ে জখম করেন রনি। মাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শারমিনের শিশুসন্তান রাশেদ রাইয়ানকেও (৭) কোপান রনি।

রাজশাহী নগরের রায়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। মা-ছেলে দুজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

রনি আহমেদ রাজশাহী নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার কোর্ট কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহীতে একটি কলেজে সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে।

শারমিন নাহারের স্বামী রেজাউল করিম রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার একটি শিক্ষক। তাঁরা এক দিন আগেই কোর্ট কলেজপাড়ার বাসা ছেড়ে নগরের রায়পাড়া এলাকায় নতুন একটি বাসায় ওঠেন। নতুন বাসার ঠিকানা জোগাড় করে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাসায় এসে এ হামলা চালান রনি।

রেজাউল বলেন, তিনি বাসার পাশেই মোড়ে চা পান করতে গিয়েছিলেন। এরই মধ্যে খবর পান, তাঁর বাসায় হামলা হয়েছে। ছুটে গিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী ও শিশুসন্তান রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তাঁদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে রনি পালিয়ে যান। তখনই তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সারা দিন তাঁর স্ত্রীর জ্ঞান ছিল না। সন্ধ্যার একটু আগে তাঁর জ্ঞান ফিরে এসেছে। কিন্তু তিনি এখনো পরিষ্কার করে কথা বলতে পারছেন না। তাঁদের সারা গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর মাথায় রয়েছে গুরুতর জখম।

নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান বিকেলে জানান, এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।