Thank you for trying Sticky AMP!!

যশোরে 'গোলাগুলিতে' কথিত মাদক ব্যবসায়ী নিহত

যশোর শহরের শংকরপুর বাবলাতলা এলাকায় শুক্রবার রাতে গোলাগুলিতে শহিদুল ইসলাম ওরফে তপন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।

পুলিশের দাবি, নিহত শহিদুল মাদক ব্যবসা করতেন। তবে শহিদুলের বড় ভাই বলেছেন, তিনি মাছের ব্যবসা করতেন।

নিহত শহিদুল শহরের রায়পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল গভীর রাতে তাঁরা জানতে পারেন, শংকরপুর বাবলাতলা এলাকায় দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলি হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তি পড়ে ছিলেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

এ ব্যাপারে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসান বলেন, দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে শহিদুল নিহত হন। তাঁর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অস্ত্র, মাদক ব্যবসা, বিস্ফোরক দ্রব্য বহনসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৪টি মামলা রয়েছে। তিনি এলাকার মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ৩০ বছর ধরে তিনি এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।

নিহত শহিদুলের ভাই সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে শহিদুল নিখোঁজ ছিলেন। সকালে হাসপাতালের মর্গে গিয়ে তার লাশ পেলাম। এর বেশি কিছু জানি না।’

পুলিশের বক্তব্যের বিষয়ে সাজ্জাদুল বলেন, পুলিশের বক্তব্য ঠিক না। শহিদুল স্বাভাবিক জীবন যাপন করতেন। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে। বড় মেয়ের বিয়ে দেওয়ার বয়স হয়েছে। কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন না। তিনি সরকারি সারগুদামে ঠিকাদারি কাজ করতেন। একই সঙ্গে মাছের ব্যবসা করতেন।

সাজ্জাদুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত থাকার সময় ১৫ থেকে ২০ বছর আগের দু-একটি মামলা তাঁর বিরুদ্ধে থাকতে পারে। সেটি কোনোভাবেই ১৪টি হবে না।’

যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে আজ শনিবার দুপুরে শহিদুলের লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।