Thank you for trying Sticky AMP!!

যুবককে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবিটি প্রতীকী

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত নয়টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে মাদক বিক্রির সময় স্থানীয়রা তাঁকে গণপিটুনি দেন।

নিহত যুবকের নাম গোলাম কিবরিয়া ওরফে মিন্টু (৩২)। উপজেলার চরকাঁকড়া গ্রামের ১ নং ওয়ার্ডে তাঁর বাড়ি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পিটুনির ওই ঘটনা ঘটে। কিবরিয়ার দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

নিহত কিবরিয়ার বড় ভাই মো. আজাদ প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যার দিকে তাঁর ছোট ভাইকে একই এলাকার তানভিরসহ চার থেকে পাঁচ যুবক বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে। এরপর বাড়ি থেকে কয়েক শ গজ দূরে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। একপর্যায়ে ওই যুবকেরা তাঁর ভাইকে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তার পাশে পেলে চলে যান। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, পরে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আজাদ বলেন, তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদকের মামলা রয়েছে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে তিনি গত ১০-১২দিন আগে জামিনে বেরিয়ে আসেন। তবে তিনি বর্তমানে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নন। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। আজাদ আরও বলেন, যাঁরা কিবরিয়াকে হত্যা করেছে তাঁদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির লোকজনও রয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।

কিবরিয়াকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, নিহত কিবরিয়া একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে পার্শ্ববর্তী ২ নম্বর ওয়ার্ডে মাদক বিক্রি করতে গেলে ওই এলাকার লোকজন তাঁকে পিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ সড়কের পাশ থেকে তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে রাত নয়টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, কিবরিয়ার বিরুদ্ধে থানায় মাদকের আটটি মামলা রয়েছে। তাঁকে ইতিপূর্বে পুলিশ একাধিকবার গ্রেপ্তারও করে। হত্যার ঘটনায় তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।