Thank you for trying Sticky AMP!!

যৌন নির্যাতনের ঘটনায় চাকরি হারাচ্ছেন হাজী দানেশের শিক্ষক

দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক রমজান আলীকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধেও সাময়িক শাস্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

বর্তমানে সাময়িক বরখাস্ত রমজান আলী প্রাণরসায়ন ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

আজ শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারণী রিজেন্ট বোর্ডে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বোর্ডের একজন সদস্য।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ উপাচার্যের বাসভবনে রিজেন্ট বোর্ডের ৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুটি বিবিধ বিষয়সহ ২৮বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

রমজান আলীর বিরুদ্ধে এক শিক্ষার্থী ২০১৭ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন বরাবরে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। রমজানের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করে। বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত রমজানের স্থায়ী বহিষ্কার বা শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা।

এ ছাড়া ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্র সরবরাহ করার অভিযোগে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব সহকারী আমিনুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম ও নিয়োগ–বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করা, সেই বক্তব্যের সপক্ষ তথ্য–প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে না পারার কারণে ফিশারিজ অনুষদের জুনিয়র ক্লার্ক কবিতা রায়কেও সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

প্রায় দুই মাস ধরে সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের একটি অংশ পদোন্নতির দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল। রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে তাদের এই সমস্যার সমাধানও হয়েছে বলে জানা যায়। তবে পদোন্নতির বিষয়ে অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে।