Thank you for trying Sticky AMP!!

রাউজানে খাল থেকে যুবলীগ নেতার বাঁধ অপসারণ

চট্টগ্রামের রাউজানে সর্তা খালের বাঁধ অপসারণ করা হয়েছে। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে পানিপ্রবাহ। প্রাণ ফিরে পেয়েছে খাল। গতকাল দুপুরে। সংগৃহীত

চট্টগ্রামের রাউজানের সর্তা খালের সেই বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে স্বাভাবিক হয়েছে পানিপ্রবাহ। প্রাণ ফিরে পেয়েছে খাল। বাঁধটি অপসারণ করে মাটি কাটা ও বালু তোলা বন্ধ করা হয়। 

গতকাল বুধবার দুপুর ১২টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলার নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের নতুনহাট বাজারের পাশে অভিযান চালান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির। এ সময় বালু তোলার মেশিন, পাইপ ও মাটি কাটার সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়। এ ছাড়া চিকদাইর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে খালের মাঝখানে আরেকটি বাঁধ অপসারণ করা হয়।

গতকাল প্রথম আলোর ৮ পৃষ্ঠায় ‘খালে বাঁধ দিয়ে মাটি বিক্রি’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান চালায়। যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে দেওয়া হয় এ বাঁধ।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে মাটি কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মুহাম্মদ আলী (৪৫) কে আটক করা হয়েছে। বাকিরা অভিযানের খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। অভিযানে বালু তোলার পাইপ কেটে ফেলা হয়। মেশিনটি পানির স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে নষ্ট করা হয়। ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সর্তা খাল হালদা নদী থেকে শুরু হয়ে উপজেলার গহিরা, নোয়াজিষপুর, চিকদাইর, হলদিয়া ও ডাবুয়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে খাগড়াছড়ির দিকে বয়ে গেছে। এটির প্রস্থ ১০০ থেকে ১২০ ফুট। 

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গহিরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সায়েদুল আলম সর্তা খালে বাঁধ দিয়ে গত ১৫ দিন মাটি কেটে বিক্রি করছিলেন। এ কারণে খালের দুপাশের কৃষিখেতের চাষাবাদে ব্যাঘাত ও পানি সেচ দিতে সংকটের মুখে পড়েছিলেন কৃষকেরা। 

রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জোনায়েদ কবির প্রথম আলোকে ধন্যবাদ জানান সংবাদের প্রকাশের জন্য। তিনি বলেন, প্রতিবেদনটি দেখে অভিযান চালানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন খালে বাঁধ দিয়ে পানির গতিপথ বন্ধ করা, মাটি কাটা বেআইনি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।